ডায়রিয়ার রোগীকে কলেরার স্যালাইন দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানালো কলেরা জীবাণু সংগঠন

২১৫৯ পঠিত ... ২২:২১, মে ৩০, ২০১৮

যে কোনো ধরনের অসুখ থেকে আরোগ্য লাভের একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হলো পথ্য গ্রহণ। এবং যুগ যুগ ধরে দেশে-বিদেশে পথ্য হিসেবে যে পানীয়টি পরিচিতি লাভ করে এসেছে তা হলো স্যালাইন! তবে সম্প্রতিকালে চুয়াডাঙ্গার একটি হাসপাতালে রোগীকে ভুল স্যালাইন দিয়েই মিডিয়ার লাইমলাইটে চলে এসেছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা। সময় টিভির নিউজে দেখা যায় যে, চুয়াডাঙ্গার একটি হাসপাতালে, এক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে কলেরার স্যালাইন দেবার মতো বিশাআআআআআআল ভুল করে ফেলেন কর্তব্যরত এক ডাক্তার। মুহুর্তেই খবরটি  দাবানলের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে!

ডিজাইন: তন্ময় পাল অন্তু


সংবাদটির ব্যাপারে সময় টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রথমে জানান ‘ডাক্তারি একটি মহৎ পেশা। এ পেশায় নিয়োজিত কারোই এমন প্রাণঘাতী ভুল না করা উচিত।’ পরে কলেরা-ডায়ারিয়া এমন আলাদা আলাদা নামে কোন স্যালাইন নেই বলে তাদেরকে জানানো হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, ‘না থাকলে সেটাও তো মেডিকেল ব্যবস্থার দোষ। কই কলেরা, আর কই ডায়রিয়া! ডায়রিয়া রোগীকেই যদি কলেরার মতো প্রাণঘাতী বিলুপ্তপ্রায় রোগের হাইডোজ স্যালাইন দেয়া হয় তাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়তেই পারে! এমনকি বিলুপ্তও হয়ে যেতে পারে’

তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিলুপ্তপ্রায় একটি সংস্থা। বৃহত্তর ভিব্রিও কলেরি সংগঠন নামে প্রায় বিলুপ্তপ্রায় সংগঠনটির মুখপাত্র জানান, ‘আমরা প্রায় বিলুপ্তপ্রায় হতে পারি, হয়তো বিএনপির মতো আমরাও আর ফর্মে নেই বলে আমাদের স্যালাইন বিক্রি হয় না, তাই বলে ডায়রিয়ার মতো নিচুবংশের পোলাপানের আক্রমণে আমাদের স্যালাইন দেয়া হলো? আমরা হয়তো নোংরায় বেঁচে থাকি, তবু আমাদের কাছে এটা নোংরামি মনে হয়েছে, পিওর লিকুইড শিট!’

এ ব্যাপারে সংগঠনটির সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ‘দেখেন ভাই, আমাদের নাম, ভিব্রিও কলেরি, নামটাই কতোটা ছন্দময়! ইভেন আমাদের নামে, একটা উপন্যাস পর্যন্ত আছে। আপনি কি কখনো ‘লাভ ইন দ্য টাইম অফ ডায়রিয়া’ নামে কোন উপন্যাস দেখেছেন?’ চিকিৎসকের ডায়রিয়ার রোগীকে কলেরার স্যালাইন দেবার পুরো ব্যাপারটিকেই অত্যন্ত অশৈল্পিক বলে দাবি করেন তিনি।

প্রতিটি রোগের জন্য আলাদা আলাদা স্যালাইন বাজারে ছাড়ার দাবি জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেরা জীবাণু জানান, ‘জ্বর, সর্দি কাশি, হাপানি, টাইফয়েড এসবের জন্যও প্রয়োজন আলাদা আলাদা স্যালাইন। সব রোগীকে এভাবে কলেরার স্যালাইন দেয়া হলে আমাদের সম্মান রক্ষার্থে হলেও আমরা আবার কাম্ ব্যাক করতে বাধ্য হবো!

২১৫৯ পঠিত ... ২২:২১, মে ৩০, ২০১৮

Top