অামেরিকানরা এখন ঢাকায় এসে ক্যান্সারের ওষুধ কেনে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে মঙ্গলবার সেবা সপ্তাহ-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। (সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন )
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরপরই জানা গেলো আরেকটি চাঞ্চল্যকর খবর। এবার ক্যান্সারের ওষুধ কিনতে ঢাকায় আসছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের সফর সঙ্গী হিসেবে থাকছেন বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশসহ আরও অনেকে। আজ সকালে হোয়াইট হাউজের বারান্দায় ডাকা এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ট্রাম্প। সংবাদ সম্মেলনে তার সফর সঙ্গীদের সকলেই উপস্থিত ছিলেন। বারাক ওবামাকে তার নোটবুকে হিসাব করছিলেন। এসময় ট্রাম্পের হাতে একটি প্রেসক্রিপশন দেখা যায়।
ক্যান্সারের ওষুধ কিনতে ঢাকায় কেন যাচ্ছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ট্রাম্প মৃদু হেসে বলেন, 'আমার দেশের লোক ঢাকায় যায় ওষুধ কিনতে এটা আমি জানতাম না। বিলিভ মি, মেডিকেল সাইন্সে আমেরিকার চেয়ে ঢাকা এগিয়ে আছে এটা এখন মানতেই হবে। আমি চাই ঢাকাকে কাজে লাগাতে। আই উইল মেক ঢাকা গ্রেট এগেইন।'
আপনি ক্যান্সারের ওষুধ দিয়ে কি করবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নডেচড়ে বসেন বারাক ওবামা। ওবামা বলেন, 'এখন হাতে তেমন কাজ নেই। আয় ইনকামও নেই। ঢাকায় যাবো মূলত পাইকারী দরে ক্যান্সারের ওষুধ কিনতে। হিসাব করে দেখলাম, সেগুলো এ্যামেরিকায় এনে অল্প লাভে বিক্রি করলে মুনাফা ভালই হবে। এছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেলটাও পাওয়ার ইচ্ছা আছে। 'এটা বলেই ওবামা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, 'চেঞ্জ আই নিড.. ফিলিং ক্যান্সার'।
আপনিও কি ক্যান্সারের ওষুধ কিনতেই যাবেন, এমন প্রশ্নে লাজুক হেসে হিলারি ক্লিনটন বলেন, 'উহু, আমি আসলে গুলিস্তানে যাবো জুতা কিনতে। তবে যাবোই যখন দুই পাতা ক্যান্সারের ওষুধও কিনে আনবো। আমার পোষা কুকুরটার লিভার-ক্যান্সার হয়েছে।' বলেই তিনি ব্যাগ থেকে পশু ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বের করে দেখান।
অবশ্য জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন তিনি ওষুধ কিনবেন না। ওষুধের কারখানা পরিদর্শনই তার উদ্দেশ্য। কারখানার মধ্যে সন্ত্রাসী ও তেল লুকিয়ে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলেন, 'ইয়ে মানে.. হ্যাঁ কবে আসছেন উনারা?' বলার পরপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মাথা ঘুরে উঠলে সবাই তার মাথায় পানি ঢালতে শুরু করে। সেই অবস্থাতেই তিনি বলতে থাকেন, 'দেখলেন, দেখলেন, বলছিলাম না!'
