সম্প্রতি ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত 'জি সেভেন সামিট' এ দেখা যায় হোমরা-চোমরা সব বিশ্বনেতাদেরকে। সেখানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ নানান 'রাজনৈতিক রুই-কাতলা'। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচিত হয়ে উঠেছে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে জাস্টিন ট্রুডোর সৌজন্যমূলক 'বায়বীয় চুমু', এবং তাদের পাশেই দাঁড়ানো বিষন্ন চেহারার ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবিটি। ছবিটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে হইচই, মিমাররাও কোমরে গামছা বেঁধে বানাচ্ছেন নানান রকম মিম।
ছবিটিতে প্রেসিডেন্ট সাহেবের এই বিষন্ন চেহারা দেখে আমাদের অনেকটা একই রকম কেসে সিঙ্গেল হয়ে যাওয়া প্রতিবেদক নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি। হোয়াইট হাউজের দারোয়ানের সাথে হালকা লবিং করে তিনি পৌঁছে যান একেবারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি।
ট্রাম্পের রুমে ঢুকতেই দেখা যায় তিনি স্মার্টফোন সামনে ধরে মগ্ন হয়ে টুইটারে সময় কাটাচ্ছেন। সামনে বসে 'ট্রাম্প ভাই ট্রাম্প ভাই' বলে কয়েকবার ডাকার পরেও তিনি অতিরিক্ত মগ্ন থাকায় তা খেয়াল করেননি। অতঃপর তাকে টুইটারে নক দেয়ার পর তিনি ফোন থেকে চোখ সরিয়ে কিছুটা বিরক্ত মুখে বলেন, 'টুইটারে কী সব চলতেছে দেখছো? মান ইজ্জত আর থাকলো না।'
'আপনার মান ইজ্জত কি হারানোর মতোও কিছু অবশিষ্ট আছে?' এই প্রশ্ন মুখে চলে আসলেও আমাদের প্রতিবেদক তা খব কষ্টে চেপে গিয়ে বলেন, 'দেখলাম ভাই। ভাবীরে নিয়ে তো প্রচুর মিম চলতেছে...'
এই কথায় খেপে গিয়ে ট্রাম্প প্রায় টেবিলের উপর উঠে গিয়ে প্রতিবেদকের কলার চেপে ধরে বলেন, 'চলতেছে মানে? তোমরাও তো বানাইছো! একটা না, দুইটা না, গোটা ১০টা মিম বানাইছো এই ছবি নিয়ে। eআরকি করো?'
এই পর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েকজন ছুটে এসে ট্রাম্পকে শান্ত করেন। আমরা আবারও স্বাভাবিক কথোপকথনে ফিরে যাই।
: তো ট্রাম্প ভাই...
: আমাকে স্যার ডাকবা...
: ও আচ্ছা, ইয়ে, স্যার, এই ছবির ব্যাপারেই যদি কিছু বলতেন...
: বলার আর কী আছে! যা বলার মানুষজন তো বলছেই। মানুষজন কী বলতেছে সেটাও যদি আমি বলি তাহলে মানুষজন কী বলবে...
: আপনি কি মেলানিয়া ভাবী, সরি, ম্যাডামকে কিছু বলেছেন এই নিয়ে?
: এরপরও কি কিছু বলার থাকে রে ভাই...
বাক্য শেষ করার আগেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এই সরল মনের মানুষটি। কান্নার এক ফাঁকে বলেন, 'মেলুকে (মেলানিয়া) বলেছি, আমি তো ট্রুডো না, ট্রুডো লইয়াই থাকো।'
উত্তরে মেলানিয়া ম্যাডাম কী বলেছে জানতে চাইলে ট্রাম্প চোখ-নাক মুছে বলেন, 'বলেছে, অকা। অকা মানে কী? জানো নাকি?'
: ছবিতে আপনাকে খুবই বিষন্ন দেখা গেছে। ওই মুহূর্তে ঠিক কী ভাবছিলেন?
: মনে হচ্ছিল দেয়ালটা আসলে ভুল সাইডে তুলছি। মেক্সিকোর দিকে ওয়াল না তুলে আসলে কানাডার সাইডে ওয়াল তোলা উচিত ছিল। মেক্সিকানরা তো দেশে ঢুকছে, কানাডিয়ান হালার্পুত সোজা আমার ঘরে ঢুইকা পড়ছে...
এই পর্যায়ে ট্রাম্প আরও একবার ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন।
'অনেকেই ভাবছে, মেলানিয়া ম্যাডাম কানাডায় মাইগ্রেট করবেন কিনা। এ ব্যাপারে কি জানেন?' এই প্রশ্ন করামাত্র ট্রাম্প অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করলে আমাদের প্রতিবেদক এবার একটু নড়েচড়ে বসেন। আরও কিছু প্রশ্ন করার ইচ্ছা থাকলেও ভেতর থেকে মেলানিয়া ট্রাম্পের গলা শোনা যায়, 'ওই পোড়ামুখো মিনসে, ভেতরে আয়... বা* ইন্টারভিউ দিতেছে এক ঘন্টা ধরে...।' সুতরাং এই পর্যায়ে কেটে পড়াটাই আমাদের প্রতিবেদক সমীচীন মনে করেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন