নানা নাটকীয়তার শেষে হোয়াইট হাউজ ছাড়লেন 'সাবেক' মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্সিয়াল মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিশ্চয়ই তাঁর হাতে এখন অফুরন্ত অবসর! সেই অবসর সময়ে কী করতে পারেন বহুমুখী প্রতিভা ট্রাম্প? প্রিয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য তা ভেবে বের করেছেন eআরকির ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞরা...
১# ডোনাল্ড ট্রাম্প মাত্র তিনবার বিয়ে করেছেন। এদিকে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ 'মাসনা সুলাসা রুবাআ'তে চার বিয়ে প্রমোটের পাশাপাশি এর গুণাগুণ ও সুফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। অবসরে চতুর্থ বিয়েটা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব সহজেই এই গ্রুপের মোটিভেটর হিসেবে যোগদান করতে পারেন। কে জানে, ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে হয়তো মডারেটর কিংবা এডমিন হিসেবেও জায়গা পেতে পারেন!
২# ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ১৯৫৯ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিউইয়র্ক মিলিটারি একাডেমিতে পাঠানো হয় যাতে তিনি উচ্ছৃঙ্খল জীবন থেকে বের হয়ে আসতে পারেন। খুব বেশিদিন সেখানে টিকে থাকতে না পারলেও তার নূন্যতম মিলিটারি জ্ঞান আছে বলে ধারণা করা হয়। সেই মিলিটারি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তিনি কোনো চরমপন্থী বা জঙ্গী সঙগঠনে যোগ দিতে পারেন।
৩# সত্তরের দশক থেকে ২০ জনেরও বেশি নারী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ করেছেন। অবসরের পরে বাংলাদেশে এসে তিনি স্কুল-কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে কচি মেয়েদের দেখে 'ও টুনির মা তোমার টুনি কথা শোনেনা...' কিংবা 'মাইয়ারে মাইয়া ও তুই অপরাধী রে...' ইত্যাদি গান গেয়ে টিজ করতে পারেন। এতে করে তার অবসর ভালো কাটবে বলে আশা করা যায়, তবে বাই চান্স মাইর-টাইর খাইলে আমরা দায়ী না।
৪# ফেসবুক টুইটার থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে কী! টিকটক তো আছে! এর আগে এই চাইনিজ অ্যাপটি তিনি নিজেই নিষিদ্ধ করেছিলেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রুচি, ব্যক্তিত্ব ও জীবনের সাথে টিকটকই সবচেয়ে বেশি মানানসই। আশা করা যায় তিনি অচিরেই টিকটক সেলিব্রেটি হয়ে পয়সাও কামাতে পারবেন।
৫# একসময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুল জনপ্রিয় টিভি শো 'The apprentice' হোস্টিং করতেন। তিনি চাইলে বাংলাদেশে এসে 'ছায়াছন্দ' কিংবা 'কেকা আপার রান্নার অনুষ্ঠান'গুলোও হোস্ট করতে পারেন। তবে তিনি সবচেয়ে ভালো করবেন টক শোগুলোতে।
৬# ডোনাল্ড ট্রাম্প মূলত ছিলেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। তার বয়স যখন ২৭, তখনই নিজস্ব এপার্টমেন্টের সংখ্যা ছিলো ১০,০০০। তিনি চাইলে সেগুলো হেলিকপ্টার দিয়ে বাংলাদেশে এনে 'লিটনের ফ্ল্যাট' হিসেবে ভাড়া দিতে পারেন। এতে করে বাকিজীবন বাংলার সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা মাটিতে জীবিকার অভাব হবে না।
৭# ট্রাম্পের রাজনৈতিক দর্শনের সাথে বাংলাদেশের রাজনীতির প্রচন্ড মিল পাওয়া যায়। মনে হয় যেন ভুল করে তিনি আমেরিকায় চলে গেছেন, কিন্তু আসলে বাংলাদেশেই তার রাজনীতিবিদ হওয়ার কথা। তাই এবার তিনি তার আসল জায়গা, মানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঢুকতে পারেন। এই মুহূর্তে বিএনপিতে যগ দেয়াই তার জন্য সবচেয়ে প্রফিটেবল। তবে চাইলে নিজের নতুন দলও করতে পারেন।
৮# এক কালে রেস্লিং রিংয়েও নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ট্রাম্প। এই অবসরে তিনি আবারও রেসলিং জগতে ফিরে গেলে কিন্তু মন্দ হয় না। একটু কল্পনা করুন, ছোট্ট একটা ইয়ে পরে কোমরে বেল্ট লাগানো ট্রাম্প মাইকে বলছেন, 'ইন দিস রেসলম্যানিয়া চ্যাম্পিয়নশিপ... আই ডোন্ট ওয়ান্ট চাইনা...'
৯# ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি রাতে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমান। বাকি রাত তিনি কি করেন? অবসরেও কি চার ঘণ্টা ঘুমাবেন? বাংলাদেশের তরুন তরুণীদের অনুরোধে কিন্তু তিনি রায়হান ভাইয়ের মতো লাইভে এসে নাচ দেখাতে পারেন। তিনিও জেগে রইলেন, আমরাও জেগে রইলাম!
১০# কমেডিয়ানরা অনেক ভেবেচিন্তে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে স্ক্রিপ্ট লেখেন, জোক লেখেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখানে অনন্য, তিনি জাস্ট সাধারণ কথাবার্তা বলেন আর আমরা হেসে গড়াগড়ি খাই। এই অবসরে তিনি ফুলটাইম স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। টিভির পর্দায় আমরাও ট্রাম্পকে দেখতে চাই নিয়মিত। আমাদের অনুরোধ, হোয়াইট হাউজ ছাড়লেও হারিয়ে যাবেন না প্লিজ!