আরও যে ৬টি 'বেসরকারি' দলকে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত

৮০১ পঠিত ... ২২:৪০, আগস্ট ৩১, ২০১৯

বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে পুকুর ও দীঘি খননে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে পুকুর-দীঘি পুনঃখনন, সৌরচালিত পাম্প স্থাপন ইত্যাদি কাজে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বিদেশ যাবেন ১৬ জন। এ বিদেশ সফরে খরচ হবে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। খবর: বণিক বার্তা।

খবরটি প্রকাশের পরেই বেশ আলোচনায় চলে আসে। পুকুর খননের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বিদেশে যেতে হলে আরও যেসব কাজে উন্নত প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশ যাওয়া যেতে পারে, সেসব নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল eআরকি। জান্নাতুল ফেরদৌসের দেওয়া, চা দোকানদারদের চা তৈরিতে উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে চীনদেশে পাঠানোর আইডিয়া পেয়ে eআরকিও ভেবেছে এমন আরও অনেক কিছু।   

 

১# উন্নত চা তৈরির জন্য চীন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চা এক অপরিহার্য পানীয়। দেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে আপনি খুঁজে পাবেন চায়ের দোকান। তবে এসব দোকানে পাওয়া চায়ের কোনটি হয়ে পড়ে বেশি মিষ্টি, কোনটি চিনিহীন, কোথাওবা কনডেন্স মিল্কের ঘনত্ব বেশি আবার কোথাও লিকারের হেরফের ঘটে। তাই ঠিকঠাক চা তৈরির জন্য একটি বড় দলকে পাঠানো যেতে পারে চায়ের আঁতুড়ঘর চীনে। 

এই দলে থাকবেন, দেশের কিছু শীর্ষ চা নির্মাতা। সাথে থাকবেন কয়েকজন শীর্ষ দুধ সরবরাহকারী। এই দলে আরও থাকবেন, চা বাগানের মালিক, ম্যানেজার এমনকি চিনি উৎপাদনকারীরাও। এছাড়াও চায়ে আসক্ত কিছু মানুষও থাকবেন সেই দলে। চীনে তারা শিখতে পারবেন চা তৈরির উন্নত কলাকৌশল, যা পরে ছড়িয়ে দিবেন দেশব্যাপী। 



২# দর্জির উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ফ্রান্স

দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা টেইলর বা দর্জিদের ব্যাপারেও ভোক্তাদের আছে নানাবিধ অভিযোগ। মাপ ঠিকমত না নেওয়া, কাটিং-এ হেরফের, ভালো সেলাই না দেওয়া থেকে শুরু করে অজস্র অভিযোগ আছে দর্জিদের ব্যাপারে। তাই তাদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো যেতে পারে প্যারিসে। শুধু ফ্রান্সই নয়, ফ্যাশনেরও রাজধানী প্যারিস। শ্যানেল, পিয়েরে কার্ডিন, বালমা, গিভেঞ্চিসহ অসংখ্য বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড ঐ প্যারিসেই অবস্থিত। তাই ফ্রান্স তথা প্যারিসই হতে পারে বাংলাদেশের টেইলরিং শিল্পকে বদলে দেবার উপযুক্ত স্থান। 

উচ্চতর দর্জি প্রশিক্ষণের দলটির অন্যতম অংশ হবেন ফ্যাশন সচেতন কয়েকজন তরুণী। অবশ্যই কয়েকজন দর্জি, কিছু কাপড় প্রস্তুতকারক, মেজারমেন্ট টেপ নির্মাতা থেকে শুরু করে অনেকে। 

 

৪# ওয়াইফাই মেরামতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে দক্ষিণ কোরিয়া

ওয়াইফাই ও ইন্টারনেট সংযোগ বিষয়ক যেকোনো সমস্যার সমাধান হিসেবে সার্ভিস প্রোভাইডাররা যে অব্যর্থ তরিকাটি বলে থাকেন সেটি হচ্ছে, রাউটার অন করে অফ করা। এছাড়াও পিসি রিস্টার্ট করা, রাউটারকে প্রহার করার মতন সমাধানও দেওয়া হয়ে থাকে। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই মেরামতে দক্ষতা সৃষ্টি করতে ইন্টারনেট সার্ভিসে কাজ করা একটি দলকে পাঠানো যেতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ায়। পৃথিবীর দ্রুততম ইন্টারনেট পাওয়া যায় সেই দেশেই।

নেটের লাইনের লোকজন ছাড়াও এই দলে থাকতে পারেন কয়েকজন বিশিষ্ট গেমার এবং স্কাইপে ভিডিও কল করা ব্যক্তিত্বরাও।

 

৫# নাপিতদের দেওয়া ‘মেসেজ’-এর মান বৃদ্ধিতে থাইল্যান্ড

সেলুনে চুল কাটানোর পর অনেকেই নাপিতের কাছ থেকে ‘মেসেজ’ নিয়ে থাকেন। মাথায় ও ঘাড়ে দেওয়া এসব ‘মেসেজ’ কখনো কখনো ঘাড় মটকে ফেলার মতন অবস্থাতেও চলে যায়। তাই ‘মেসেজ’কে মাসাজে বদলে দিতে থাইল্যান্ডে পাঠানো যেতে পারে নাপিতদের একটি দলকে। নানান রকম পোকামাকড় ভাজা ও সমুদ্রসৈকতের বাইরে থাইল্যান্ডের খ্যাতি আছে স্পা বিষয়েও। আর স্পা বলতেই চোখে ভেসে ওঠে চমৎকার সব মালিশের ছবি। তাই থাইল্যান্ডই হতে পারে নাপিতদের জন্য মাসাজ শেখার আদর্শ স্থান। 

 

৬# পোষা বিড়ালদের জার্মানির হ্যামেলিনে...

ইঁদুরের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সুদীর্ঘকাল থেকে বিড়াল পুষে আসছে মানবজাতি। কিন্তু ইন্টারনেটের যুগে এসে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে অত্যাধিক খ্যাতি পেয়ে অনেক বিড়ালই ভুলতে বসেছে ইঁদুর ধরার কলাকৌশল। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত টম এন্ড জেরি কার্টুন দেখে দেখে ইঁদুরের প্রতি এক অবর্ণনীয় ভয় জায়গা করে নিয়েছে বিড়ালদের মনে। তাই ইঁদুর শিকারে বিড়ালের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিড়ালদের পাঠানো যেতে পারে জার্মান শহর হ্যামিলনে।

একদা এক সময় সেই শহরে এক বাঁশিওয়ালা দেখিয়েছিলেন, ইঁদুর নিধনের সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। তবে পেমেন্টের ঝামেলায় তিনি চলে গেলে, পরবর্তী সময় আবার ফিরে আসে ইঁদুর। বিড়ালেরাও সেই বাঁশিওয়ালার দীক্ষা নিয়ে সফলভাবেই নিধন করে চলেছে ইঁদুর। বাংলাদেশি বিড়ালরাও হ্যামিলন ঘুরে এসে ইঁদুর নিধনে মেতে উঠতে পারবে।

৮০১ পঠিত ... ২২:৪০, আগস্ট ৩১, ২০১৯

Top