আব্বা টিভি দেখতে দেখতে হঠাৎ করে সেদিন জিজ্ঞেস করলেন, 'ম্যারাডোনা পেলেয়ারটা কই? খেলে না? পেলেয়ার ছিল একটা। কী গুলির মতো একেকটা শট! আর কী কাটাই তো, ৬-৭ জন, কোনো ব্যাপারই না। আর এরা? এইগুলা কী খেলে!'
হয়তো আজ রাতেই আমার শেষ ফুটবল দর্শন। হয়তো খেলা দেখব আবার, ২০৫০ বিশ্বকাপে! 'হয়তো', তিন অক্ষরের কী বিশাল অথচ অবশ্যম্ভাবী এক অনিশ্চিত নিশ্চয়তা!
এই লোকটা কোনো দিনই বিশ্বকাপ জিতবে না। জীবন তো আর সিনেমার শেষ দৃশ্য না। এই না-পাওয়া নিয়েই তিনি অবসরে যাবেন। ফুটবল বোদ্ধা, এবং আপনারা, এবং ইতিহাস, এবং আরও সবাই, এবং ন্যু ক্যাম্পের সিনথেটিক ঘাস, এবং ঝলসানো ফ্লাড লাইট...সবাই ভুলে যাবে তার নাম।
তবে আমি এবং আমার মতো কিছু বৃদ্ধ তখনো জানবে, লিওনেল মেসি হয়তো কোনো খেলোয়াড় ছিল না। ছিল সেই জাদুকর। সময় এবং তার পারিপার্শ্বকে; জেরোম বোয়াটেংকে, এডুইন ফন ডারসারকে স্থির করে দেওয়া এক আলোরগতি।
যার কারণে এখন সময় আটকে আছে। স্থির হয়ে আছে।
হয়তো সে কারণেই ৩২ বছর পর, যদি বেঁচে থাকি, টিভি দেখতে দেখতে পাশে বসা সন্তানকে জিজ্ঞেস করব, 'মেসি পেলেয়ারটা কই? খেলে না এখন?'