মুড়ি মাখানোতে কি জিলাপি দেয়া উচিত, নাকি উচিত না? এক পক্ষ মনে করেন মুড়ি মাখানোতে জিলাপি দেয়া কোনো সুস্থ মানুষের কাজ নয়। এদিকে অন্য পক্ষের মত, মুড়ি মাখানোতে জিলাপি না দিলে মুড়ি খাওয়ার মূল আনন্দটাই যেন পানসে হয়ে যায়! তবে এই দ্বন্দ্ব কিন্তু নতুন নয়। সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই চলে আসছে এই বিতর্ক। মুড়ি মাখানোতে জিলাপি দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে ঘটে গেছে নানান ঐতিহাসিক সব ঘটনাও। গেম অফ থ্রোনসের সিটাডেলের লাইব্রেরি খুঁজে ইতিহাসের নানান বই ঘেটে সেসব ঘটনা খুঁজে বের করেছেন আমাদের ইতিহাস গবেষক দল!
১# ১৯৩৯ সালের ৩০ আগস্ট হিটলারকে দাওয়াত করে পোলান্ড নিয়ে গিয়ে মুড়ি মাখানো জিলাপি খেতে দেয়া হয়। এক চামচ মুড়ি মাখানো মুখে নিয়ে তাতে জিলাপি দেখে রেগে গিয়ে হিটলার ১ সেপ্টেম্বর পোলান্ড আক্রমণ করে। শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
২# ইংরেজরা মুড়ি মাখানোর সাথে জিলাপি পছন্দ করতো, নবাব সিরাজউদ্দৌলা করতেন না। পলাশীর যুদ্ধের অন্যতম কারণ হিসাবে এটাকেই ধরা হয়। অন্যদিকে জিলাপি ছাড়া মুড়ি মাখানো খেতেই না পারা মীর জাফর ইংরেজদের সঙ্গে যোগ দেন।
৩# পৃথিবীতে যারা মুড়ি মাখানোয় জিলাপি দেয় তাদেরকে গায়েব করে দেয়াই ছিলো থানোসের আসল উদ্দেশ্য। ইনফিনিটি ওয়্যার আর এন্ডগেম সিনেমার প্লট মুড়ি মাখানোতে জিলাপি দেয়াকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
৪# কিছু কিছু জীবিত মানুষ মুড়ি মাখানোর মধ্যে জিলাপি দেয় বলেই গেম অফ থ্রোনসে নাইট কিং সব জীবিত মানুষকে মেরে ফেলতে চায়। কারণ নাইট কিং আর তার ডেড আর্মি মুড়ি মাখানোয় জিলাপি পছন্দ করে না।
৫# গেম অফ থ্রোনসে কিং জফ্রির বিয়ের অনুষ্ঠানে মাখানো মুড়িতে জিলাপি মিশিয়ে দেয় ওলেনা এবং লিটলফিঙ্গার, যেটা খেয়েই মূলত মারা যায় জফ্রি। এদিকে মুড়ি মাখানোতে জিলাপি খেতে পছন্দ করা টিরিয়নকে এই দায়ে গ্রেফতার করা হয়।
৬# হেমলক নয়, সক্রেটিসকে জেলখানায় মুড়ি মাখানোর মধ্যে জিলাপি মিশিয়ে ধীরে ধীরে মেরে ফেলা হয়।
৭# মুড়ি মাখানোয় জিলাপি দেয়ার জের ধরেই দু'ভাগ হয়েছিলো উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
৮# পূর্ব জার্মানির মানুষ মুড়ি মাখানোয় জিলাপি দিত, আর পশ্চিম জার্মানির মানুষ দিত না। এজন্য বার্লিন দেয়ালের মাধ্যমে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি আলাদা করে দেয়া হয়। পরে ১৯৮৯ সালে পূর্ব জার্মানির জনতা আর মুড়ি মাখানোয় জিলাপি দিবে না মর্মে প্রতিজ্ঞা করলে বার্লিন দেয়াল ভেঙে দুই জার্মানিকে এক করা হয়।
৯# প্রাচীনকালে ইতালিতে মুড়ি মাখানোয় জিলাপি দেয়ার প্রচলন ছিলো। কিন্তু কলম্বাস নামের এক নাবিক মুড়ি মাখানোয় জিলাপি পছন্দ করতেন না৷ তাই তিনি এমন দেশ খুজছিলেন, যেখানে মানুষ মুড়ি মাখানোয় জিলাপি দেয় না। খুজতে খুজতে আমেরিকা আবিস্কার করেন কলম্বাস।
১০# ডারউইন মুড়ি মাখানোতে জিলাপি দেয়া একেবারেই পছন্দ করতেন না। সে সময় এক ব্যক্তিকে মুড়ি মাখানোয় জিলাপি খেতে দেখে তিনি বিবর্তনবাদের ধারণা পান। নিশ্চিত হন, মানুষের পূর্বপুরুষ আসলে বানর ছিলো।
১১# ডাইনোসররা মুড়ি মাখানোয় জিলাপি খেতো। এজন্যই ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে।