এমবাপ্পে, উনিশ বছর বয়সী এই ফ্রেঞ্চ ফুটবলার গা থেকে কৈশোরের গন্ধই হয়ত এখনো যায়নি, কিন্তু তিনিই জিতে ফেলেছেন বিশ্বকাপ ফুটবল। অলিভার জিরুর মতো কেবলমাত্র অংশগ্রহণেই বিশ্বকাপ জয় নয়, ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ে এমবাপ্পের অবদান অনস্বীকার্য। তবে এমবাপ্পে নজর কেড়েছেন তার তীব্র গতি দিয়ে। মাঠের ডানদিক দিয়ে একের পর এক তীব্র গতির আক্রমণ করতে পারেন এমবাপ্পে, ঐ গতির সাথে অসাধারণ সব ড্রিবল করে প্রতিপক্ষের মাঝমাঠ আর ডিফেন্সকে ভড়কে দিতে এমবাপ্পের জুড়ি নেই কোন। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সেকেন্ড রাউন্ডের ম্যাচের শুরুর দিকেই এমবাপ্পের সেই বল পায়ে দৌড় সবার মনে নিশ্চয়ই দীর্ঘদিন দাগ কেটে থাকবে।
পেলের পর দ্বিতীয় টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা এমবাপ্পে যদি বাংলাদেশে থাকতেন, তাহলে তিনি নানা রকমের সুবিধা পেতেন তার বোল্টগতির দৌড়ের কারণে। eআরকির পাঠকরা দেখে নিন এমবাপ্পে বাংলাদেশে থাকলে যে সব সুবিধা পেতেন।
১#
সামনেই এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট। এমবাপ্পের বয়স ১৯, বাংলাদেশে থাকলে নির্ঘাত এখন এইচএসসির ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতো। ফলাফল যেদিন বের হত সেদিন আশেপাশের আন্টিরা জিজ্ঞেস করত, 'এই বাপ্পি! তোমার রেজাল্ট কি? ' এমবাপ্পে চাইলেই তখন এক দৌড়ে হাওয়া হয়ে যেতে পারতো।
২#
এমবাপ্পে বাংলাদেশে থাকলে তার কোন যানবাহন লাগতো না। বিশেষ করে ঢাকার বাসিন্দা হলে সে বাসে করে কোথাও যেত না। কারণ দৌড় দিলেই সে বাসের চেয়ে বেশি তাড়াতাড়ি পৌছে যেতো যেকোনো স্থানে।
৩#
এমবাপ্পে গ্রামীণ ফোনের মডেল হতে পারতো। 'দূরত্ব যতই হোক কাছে থাকুন' এই স্লোগান দিয়েই এমবাপ্পে এক দৌড় দিয়ে দূরত্ব কমিয়ে ফেলতে পারতো।
৪#
ভার্সিটির ক্লাসের জন্য এমবাপ্পের চিন্তা করা লাগতো না। সকাল আটটায় উঠে আটটা পাঁচের ক্লাস ধরা কোন ব্যাপারই হতো না।
৫#
এমবাপ্পে আমাদের দেশে থাকলে সে স্কুলের ১০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট হয়ে পুরস্কার হিসেবে নিয়মিত প্লেট, মগ, ডিনার সেট ইত্যাদি পেতো। তাই বাসায় আর থালা-বাসন কেনার দরকার হতো না।
৬#
ডেটিং এ যেতে এমবাপ্পের কখনোই লেট হতো না। সে এক দৌড়ে মাত্র পাঁচ মিনিটে মিরপুর থেকে বেইলি রোডে আসতে পারতো। প্রেমিকার কাছে এজন্য সে পেতো 'গোল্ডেন লাভার' পদক।
৭#
বাংলাদেশে থাকলে এমবাপ্পে হত একজন ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেটার। দৌড়ের কারণে ফিল্ডিং এ দারুণ পারফর্ম করতো। সে পেতো শ্রেষ্ঠ ফিল্ডিং এর জন্য 'জেলা প্রশাসক পদক'।
৮#
এমবাপ্পে দেশে থাকলে তাকে আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে লাগাতো প্রার্থীরা। কম সময়ে অধিক এড়িয়ায় নির্বাচনী লিফলেট বিলি করত এমবাপ্পে। তার নাম হত 'লিফলেট বাপ্পি'।
৯#
এমবাপ্পে তার দৌড়ের কারনে বিভিন্ন সুবিধা ডেইলি লাইফেই পেতো। যেমন বিদ্যুৎ বিল দেয়ার জন্য ব্যাংকে লাইন দেয়া লাগতো না। এক দৌড়ে সে সবার প্রথমে এসে দাঁড়াতো।
১০#
এ ছাড়া বর্ষার সিজনে মানুষ পারাপার সার্ভিস 'উঠাও' এর মাধ্যমে বেশ টাকা আয় করতে পারতো। তার দৌড়ের কারনে মানুষ বাসে না উঠে তার কোলে উঠেই বিভিন্ন স্থানে যেতো!