'ইট'স কামিং হোম, ইট'স কামিং হোম, ফুটবল'স কামিং হোম'! গত কয়েক দিনে নিশ্চয়ই এই লাইনটির কথা জেনে ফেলেছেন। ইন্টারনেটজুড়ে ইংল্যান্ড ফুটবল দল এবং 'ইট'স কামিং হোম' নিয়ে বিস্তর রসিকতা, নস্টালজিয়া ইত্যাদির চর্চা চলছে। ৯৬ ইউরো আয়োজন করেছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের মাটিতে ফুটবলের বড় কোন আসর বসছে তিন দশক পর। বিশ্বকাপ জয়েরও তিন দশক। ইংলিশদের আশা ছিল আবার হয়ত একটা বড় ফুটবল শিরোপা ইংল্যান্ডে আসতে যাচ্ছে। কিন্তু সে বার জার্মানির সাথে হেরে সেমি ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু এই গানটি কেন্দ্র করে ইংলিশদের আশা সবসময়ই ছিল।
এবারের বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স দেখে তাদের সেই আশা আবার উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। কিন্তু আবারও সেই সেমিফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ ইংলিশ জনগণের। ক্রোয়েশিয়ার সাথে ইংল্যান্ডের পরাজয়ের ফলে বিশ্বকাপ তো আর ইংল্যান্ডে অর্থাৎ বাড়ি ফিরে যেতে পারছে না। কিন্তু eআরকি ফুটবল গবেষক দল খুঁজে বের করেছে আর কী কী কারণে বিশ্বকাপ 'হোম' অর্থাৎ 'বাড়ি' কিংবা সহজ কথায় ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে পারল না। দেখে নিন বিশ্বকাপের এই দুঃখগাঁথা।
১#
বিশ্বকাপ ঘুমিয়ে পড়েছিল। তাই সময়মতো ইংল্যান্ডের ফ্লাইট ধরতে পারেনি।
২#
বিশ্বকাপ গত চার বছর জার্মানিতে থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সুযোগ সুবিধায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই ইংল্যান্ডের ব্রেক্সিট ঘটনার পর বিশ্বকাপ আর সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করছে না।
৩#
এর আগে ১৯৬৬ এর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সময় জুলে রিমে ট্রফিটি হারিয়ে যায়। তাই এই নতুন বিশ্বকাপ ট্রফিটি নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে ইংল্যান্ডে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চায়নি।
৪#
বিশ্বকাপ আসলে সাঁতার জানে না, তাই ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে পারেনি।
৫#
‘গোলাপি এখন বিলেতে’ সিনেমাটির ব্যাপারে জানতে পেরে বিশ্বকাপ ক্ষুব্ধ হয়ে বলে, ‘গোলাপি বিলেতে থাকলে আমি কিভাবে যাব? আমার রঙ তো সোনালি!’