আপনিই সিদ্ধান্ত নিন পুলিশ পুষবেন নাকি মাস্তান আর রাজনীতিবিদ পুষবেন?

১৩১৯ পঠিত ... ১৯:৫৪, আগস্ট ১৩, ২০১৭

আমাদের শরীর যদি একটা ছোট্ট শহর হয় তবে এই শহরের প্রধান মাস্তান হচ্ছে কোলেষ্টেরল। এর সাথে কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ আছে তবে প্রধান সহযোগী ট্রাইগ্লিসারাইড। এদের কাজ হচ্ছে রাস্তায় রাস্তায় মাস্তানি করা, মেয়েদের টিজ করা। হৃৎপিন্ড হলো এই শহরের প্রাণকেন্দ্র। শহরের রাস্তাগুলো মিশেছে প্রাণকেন্দ্রে এসে।

মাস্তানের সংখ্যা বেশী হলে কী হয় আপনারা সবাই জানেন। এরা রাস্তাগুলো ব্লক করে দিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র অচল করে দেবে। আপনিও তখন পটল তুলবেন। না তুললেও মাস্তানদের ধর্মঘটে প্রায়ই আপনার প্রিয় শহরে এমন কিছু ঘটবে যে আপনি বেঁচেও মৃতপ্রায় হয়ে থাকবেন। হাতে রিং পরার পাশাপাশি হার্টেও রিং পরতে হবে!

আমাদের শরীর নামক শহরে কি পুলিশ নেই? যারা মাস্তানদের ক্রসফায়ার করবে অথবা জেলে ভরবে। 

হ্যাঁ, আছে। তার নাম এইচডিএল। হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন।

এইচডিএল পাড়ায় পাড়ায় মাস্তানী করা এসব মাস্তানদের রাস্তা থেকে তুলে এনে জেলে ভরে রাখে। জেলখানা চেনেন তো? লিভার বা কলিজা হল জেলখানা। লিভার এইগুলোকে বাইল সল্ট বানিয়ে শহরের পয়োনিষ্কাশন লাইনের মাধ্যমে (মল) শহর থেকে বের করে দেয়। কী অদ্ভুত শাস্তি মাস্তানদের!.

খুব ভালো? এইচডিএল-কে বন্ধু বন্ধু লাগছে, তাই তো!

দাঁড়ান দাঁড়ান! পুলিশের ছোট ভাই লিটল ডিএল সংক্ষেপে এলডিএল আবার রাজনীতিবিদ। সে লবিং করে জেলখানা থেকে কোলেষ্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড রুপী মাস্তানদের তুলে এনে আবার রাস্তায় বসিয়ে দেয়। তাদের মাস্তানিতে পুরো শরীরে জ্যাম লেগে যায়। আর এলডিএল মুখ টিপে টিপে হাসে।

এইচডিএল হায় হায় করে দৌঁড়ে আসে। কিন্তু সে এলডিএল আর মাস্তানদের যৌথ শক্তির সাথে পেরে ওঠে না। পুলিশের সংখ্যা যত কমে মাস্তানরা ততই উল্লসিত হয়। শহরের পরিবেশ হয়ে ওঠে অস্বাস্থ্যকর।

এমন শহর কার ভালো লাগে বলুন?

*

আপনি মাস্তানদের কমিয়ে পুলিশ বাড়াতে চান?

তবে হাঁটুন।

আপনার প্রতি কদমে এইচডিএল (পুলিশ) বাড়বে, এলডিএল (লবিং করা রাজনীতিবিদ) কমবে, মাস্তান (কোলেষ্টেরল) কমবে! আপনার শহর (শরীর) প্রানচাঞ্চল্য ফিরে পাবে।

আপনার প্রানকেন্দ্র (হার্ট) মাস্তানদের অবরোধ (হার্ট ব্লক) থেকে বাঁচবে।

আর শহরের প্রানকেন্দ্র (হার্ট) বাঁচা মানে আপনিও বাঁচবেন। আর আপনি বাঁচলে সারা জীবনই মনের সুখে ফেসবুকিং করতে পারবেন।

১৩১৯ পঠিত ... ১৯:৫৪, আগস্ট ১৩, ২০১৭

Top