চলছিলো বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচ। হঠাৎ মাঠে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে ব্যাট করতে দেখা গেলো বাহুবলীকে! একি কান্ড! দর্শকরা যেমন অবাক, তেমনি অবাক ক্যামেরাম্যান এবং ফটোগ্রাফাররাও! চ্যাম্পিয়ন্স টফি জিতে ওয়ানডেতে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে মরিয়া হয়ে তবে কি শেষমেশ পাকিস্তান সেই মহেশমতি রাজ্য থেকে এনে দলে ভিড়িয়েছে বাহুবলীকে? এত প্রজা যাকে ভালোবাসে, সেই সম্রাট বাহুবলী মহেশমতি রাজ্যের রাজপাট ছেড়ে তবে কি পাকিস্তান টিমে যোগ দিলেন!
প্রস্তুতি ম্যাচের এই ছবিটি নিয়ে গবেষণার এক পর্যায়ে জানা গেল, বাহুবলী নয়, বাহুবলীর রূপ (পড়ুন অবতার!) ধারণ করা এই যুবক আসলে ‘অলরাউন্ডার’ মোহাম্মদ হাফিজ!
পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়কের সঙ্গে এই ছবিটি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনিই এই তথ্য জানান। তবে তিনি অট্টহাসি হেসে যোগ করেন, ‘তবে বলি কি, হাফিজই কিন্তু আমাদের বাহুবলী! প্রফেসর মানুষ। বাঙালি হলে তো তাকে আমরা ভচ ডাকতাম! ব্যাটিং পারে, বোলিংটাও চুল টুল ঝাকিয়ে ঠিকঠাক করে, ফিল্ডিং-এ মাশাল্লাহ, বাহুবলী সে না তো কে? এক বাহু দিয়ে আর কত করবে! হাফিজ থাকতে কি আর বাহুবলী লাগে!’
পাকিস্তান দলের অবস্থা বেশ কিছুদিন ধরে খুব সুবিধার না। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হেরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গাটাও প্রায় হারাতে বসেছিল পাকিস্তানিরা। এমন দুর্দিনে বাহুবলীকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করা খুব বিচিত্র কিছু নয়। তার মধ্যে হাফিজের এমন ‘বাহুবলীয়’ ছবি দর্শককে বিভ্রান্ত করতেই পারে।
এ ব্যাপারে হাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো রিপ্লাই করেন নি। হোয়াটস্যাপে তাকে ‘আপনি কি মহেশমতি রাজ্যের মেলায় হারিয়ে যাওয়া বাহুবলীর ভাই?’ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সেই মেসেজ সিন করে রাখেন।
বাহুবলীর পরিচালক এসএস রাজামৌলি অবশ্য ছবিটি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। যোগাযোগ করার আগেই নিজেই তিনি টুইটারে অনলি মি প্রাইভেসিতে পোস্ট করেন, ‘ফাইন একটা ব্যাপার। থার্ড পার্টে ওকেই নেব ভাবছি। এমনিতেই ক্রিকেটটাও ভালো যাচ্ছে না ওদের। আর চেহারা বেচে খাওয়ার প্র্যাকটিস তো পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সেই কবে থেকেই! বাহুবলী থ্রি তে হাফিজ ফাইনাল। প্রভাস আর দাঁড়ি গোফ রাখতে চাচ্ছে না, ওর নাকি সেই রকম গাল চুলকায়!’
তবে হাফিজের এই ছবি দেখে চটেছেন আসল বাহুবলী অর্থাৎ প্রভাস। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, ‘আমার সেক্রেটারি জানিয়েছিল আমি বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলাম দশ হাজারটা। কিন্তু আমার কাছে এসেছে মাত্র ছয় হাজার। বাকি চার হাজার প্রোপোজাল গেলো কই? আমি নিশ্চিত বাকিগুলা এই ব্যাটা মেরে দিয়েছে। এ কেমন বিচার? আমি রাজমাতা শিবগামী দেবীর কাছে বিচার দেব বলে ভাবছি।’
হাফিজের এই ছবি দেখে অনেকেই প্রভাসকে পাকিস্তানি ক্রিকেটার ভাবায় তার যে মান ইজ্জতের ক্ষতি হয়েছে, সে জন্য মানহানির মামলা করবেন বলেও ভাবছেন। এ কথা জানিয়ে বিরস মুখে তিনি বলেন, ‘কাউকে আর মুখ দেখাতে পারছিলাম না, এজন্যই তো শেভ টেভ করে দাঁড়ি গোফ ফেলে দিয়েছি।’