সম্প্রতি দুবাইয়ে বিতর্কিত আরাভ খানের আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে সেখানে বেশিক্ষণ থাকেননি তিনি, ১০ মিনিট থেকেই সেখান থেকে চলে এসেছেন এই অলরাউন্ডার। কেমন ছিলো সেখানকার অভিজ্ঞতা, সেটি জানতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রথমে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। পরে আমাদের প্রতিবেদক তার ভাইয়ের ধোলাইখালের লোহার ভাঙ্গারির দোকান তাকে দিয়ে উদ্বোধন করানোর কথা জানালে তিনি কথা বলতে রাজি হন।
প্রতিবেদক: স্যার কেমন আছেন?
সাকিব: কাইফা হালুকা?
প্রতিবেদক: স্যার আরবিতে কথা বলছেন কেন?
সাকিব: জায়েদ খান ১৫ দিন মুম্বাইতে থেকে বাংলা ছেড়ে হিন্দি বলা শুরু করতে পারে আমি করলে দোষ কী?
প্রতিবেদক: আচ্ছা সরি সরি, আমার ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দেন। আচ্ছা আরাভ ভাই মানুষ কেমন?
সাকিব:একদম মাটির মানুষ ভাই, পুরা Clayman। নিজের দোকান থেকে আপনাদের ভাবির জন্য ৩ কেজি ওজনের একটা নেকলেস দিলো, নিজের বাসায় নিয়ে হরিণের ফা দিয়ে ট্যাশ করে বাত খাওয়ালো। উনার মত মাটির মানুষের আসলে সোনার না মাটির গয়নার দোকান দেওয়া উচিত ছিলো।
প্রতিবেদক: আচ্ছা, আপনি আরাভ ভাইয়ের অনুষ্ঠানে ১০ মিনিট থেকেই চলে এলেন কেন?
সাকিব: আসলে সেদিন আমার দুবাইয়ে আরেকটা ভাতের হোটেল উদ্বোধন করার কথা ছিলো। ওদেরকেও কথা দিয়ে রেখেছিলাম। পাশাপাশি রাতেরবেলা একটা বিয়েতে গিয়ে জামাই-বৌয়ের সাথে একসাথে বসে আস্ত খাসি খাওয়ার প্রোগ্রামও বুক করা ছিলো। সব মিলিয়ে সময়স্বল্পতার জন্য ভাইয়ের দোকানে বেশিক্ষণ থাকতে পারি নাই।
প্রতিবেদক: আচ্ছা আরাভ ভাইকে নিয়ে নাকি বেশকিছু বিতর্ক চলছে, আপনার কী মনে হয় না এর মধ্যে ওখানে গেলে আপনিও ওখানে জড়িয়ে যেতে পারেন?
এটি শোনার পর সাকিব ভাই কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের প্রতিবেদকের তাকিয়ে বলেন, ‘আই এম সাকিব, বিতর্ক আমি ভয় পাই নাকি? আমি বিতর্ক দেখি না, বিতর্ক শুনি না, বিতর্ক তৈরী করি।‘
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন