কিছুদিন আগেই বিশ্বকাপ ফাইনালের ঐতিহাসিক ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছেন প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ। মাস না ঘুরতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এশেজের তৃতীয় টেস্টে এক অতিমানবীয় ইনিংস খেলে জেতালেন ইংল্যান্ড দলকে। অসাধারণ এক গ্রীষ্ম কাটাতে থাকা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কিউই অলরাউন্ডার বেন স্টোকস এখন সবার আলোচনায়।
পাঁচ দিনের টেস্ট চার দিনে শেষ হয়ে যাওয়ায় একদিনের অখণ্ড বাড়তি অবসর। এই অবসরটাই কাজে লাগাতে চেয়েছিল eআরকি। তাও অগণিত জাদরেল মিডিয়ার ভিড় ঠেলে eআরকির পশ্চিম সিলেট শাখার প্রতিনিধি ঠিকই পৌঁছে গিয়েছিলেন স্টোকসের কাছে, কথা বলেছেন খেলার ভেতর ও বাইরের জীবন নিয়ে। কথা বলেছেন, ভবিষ্যৎ নিয়েও।
হেডিংলির টিম হোটেলে তাকে বেশ মনমরা অবস্থায় আবিষ্কার করা গেল। এমন অনবদ্য ইনিংস খেলেও মন খারাপ! ‘প্রথমে তো লন্ডন জেলা থেকে চেষ্টা করলাম। বিশ্বকাপ জেতার পর সবাই দুইদিন খুব মাতামাতি করল। মন্ত্রী-এমপি এমনকি তখনকার প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, রাণীর কাছে সুপারিশ করবেন আমার ব্যাপারে। তার সাথে তো আমি দেখাও করলাম গিয়ে। পরে দেখি প্রধানমন্ত্রীই গদিতে নাই… তার সুপারিশের আর কী দাম থাকে! আমার আর বুঝি স্যার ডাক শোনা হইল না।’ আক্ষেপ ঝরে পড়ে স্টোকসের কণ্ঠ থেকে।
তবে তখন থেকেই তক্কে তক্কে ছিলেন আরেকটা ভালো ইনিংস খেলার। তবে সেটি প্রথম ইনিংসে না খেলে দ্বিতীয় ইনিংসেই কেন খেললেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্টোকস বলেন, ‘প্রেশার তো কোন ব্যাপার না আমার কাছে। কথা হইল, ফার্স্ট ইনিংসে ভালো খেললে সেইটা নিয়া তো অত কথা হইত না। ম্যাচটাও জমত না। একটা কঠিন ম্যাচ জিতাইলেই না সেইটা নিয়া অনেক আহ্লাদ হয়। আমি সেই সুযোগটাই নিছি।’
অথচ অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে একটা অর্ধশতক ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি স্টোকস। ড্র হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে একটি সেঞ্চুরি পেলেও, বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটির নিয়তিই যেন ছিল ড্র হওয়া। তৃতীয় টেস্টে এমন খেলার রহস্য জানতে চাইলে স্টোকস বলেন, ‘শুনছি লিডস জেলার এমপি খুব পাওয়ারফুল। রাণীর সাথে তার প্রায়ই দেখা হয়। নাসির ভাই আগেই বলছিলেন আমারে, তার লবিংয়ে কাজ হইতে পারে। সেইজন্য তারে খুশি করার জন্যে এইখানে একটা ভালো ইনিংসের দরকার ছিল। টিমমেটদের কল্যাণে সেইটা অতিরিক্ত ভালো ইনিংস হয়ে গেছে! তাদেরকে আমি ম্যাচ শেষেই বিরাট ধন্যবাদ দিছি!’
এবার কি তবে সত্যি সত্যিই পেতে যাচ্ছেন নাইটহুড? এমন প্রশ্নের জবাবে বেন স্টোকস বলেন, ‘সেইটা তো মহারাণীর মর্জি! তবে এইবারেও যদি নাইট খেতাব না দেয়, তাইলে বাংলাদেশ চলে যাব!’
ক্রিকেট খেলতে জন্মভূমি নিউজিল্যান্ড রেখে বাংলাদেশ! eআরকি প্রতিনিধির বিস্ময়ে পানি ঢেলে স্টোকস জানান, ‘ক্রিকেট খেলতে বাংলাদেশ যাব কেন? সেইখানে তো সাকিব আছেই! আমি আর কী করব? আমি প্রাইমারি স্কুলে মাস্টারি করব! পোলাপান আমারে স্যার ডাকবে। পোলাপানের বাপ-মা শুদ্ধা আমারে স্যার ডাকবে।’
মূল আইডিয়া: দীপায়ন অর্ণব
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন