এবার চাঁদে যাচ্ছেন ক্রিস্টিনা কোচ। তিনিই প্রথম নারী যিনি চাঁদে যাচ্ছেন। তার চাঁদে যাওয়া নিয়ে পৃথিবীর কোনো কোণায় কোনো সমস্যা না থাকলেও, বাংলাদেশি মুরব্বি সমাজ তাকে জানিয়েছেন এক বিশেষ আহ্বান। বিয়ে করে চাঁদে যাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশি মুরব্বি সমাজের সাথে কথা বললে তাদের মধ্যে এক চাচা পাড়ার টং-এ চা খেতে খেতে বললেন, ‘মেয়েমানুষ হয়া জন্মাইছে, আবার চাঁদে যাওয়ার শখও করছে। আচ্ছা, শখ যখন করছে, যাক। কিন্তু এভাবে এতগুলা ছেলেমানুষের সাথে যাওয়াটা তো ঠিক না! সমাজ কী বলবে? তারথেকে বরং একটা বিয়ে করে ফেলুক, তারপর জামাইয়ের সাথে যাক। এই যে, আমার মেয়েটারেই দেখেন না। ক্লাস ফোরে থাকতে কক্সবাজার যেতে চাইছিলো। আমি কিন্তু না করি নাই, ঠিকই এখন বিয়ে করে জামাইয়ের সাথে গেছে।‘
ক্রিস্টিনা কোচের চাঁদে যাওয়া নিয়ে বাংলাদেশি নারী মুরব্বি সমাজ থেকে এক আন্টি আমাদের বললেন, ‘আজকালকার মেয়ে চাঁদে যেতে চায়, আমাদের সময় এসব ছিলো না। আমরা সংসার করতাম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের সময় সংসারের পেছনেই চলে যাইতো। এসব চাঁদে যাওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারতাম না। তাও এখন যুগ বদলাইছে যাবে যাক, কিন্তু বিয়ে করে জামাইর সাথে যাওয়াটাই ভালো। আরেকটা ব্যাপার, মেয়ে মানুষ রাতেরবেলা বাইরে থাকা একদমই ভালো না। চাঁদ, সুর্য যেখানেই যাক মাগরিবের আগে যেন বাসায় চলে আসে।‘
মুরব্বিদের এমন পরামর্শ নিয়ে ক্রিস্টিনা কোচের সাথে এক ভূয়া ভিডিও কলে কথা বললে তিনি আমাদের জানালেন, ‘আমি মুরব্বিদের পরামর্শে খুবই খুশি হয়েছি। বাংলাদেশি মেয়েদের জীবনধারা আমার পছন্দ হয়েছে। পাত্র খুঁজছি, বিয়ে করেই যাব। পারলে জামাইকে সাথে নিয়ে যাব, হানিমুনটাও করে আসলাম। এম্নিতেও আমি একা গেলে জামাইর খাওয়া-দাওয়া, ঘুম এসবের কিছুই তো হবে না!’
