বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করতে বাংলাদেশে পা দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাথে করে নিয়ে আসছেন ভ্যাকসিন। সাথে আনা ভ্যাকসিন দিয়ে কি তবে মোদীর দোকান, সরি, মুদি দোকান চালু করবেন মোদী?
নিশ্চিত না হলেও এমনটা ধারণা করছেন অনেকেই। গুলিস্তানের এক মুদি দোকানদার নিজের ফেক আইডি থেকে বলেন, ‘ওনার নাম মোদী কেন? মনে তো হচ্ছে ওনার পূর্বপুরুষরা মুদির দোকানে ব্যবসা করতেন? ওনার দোকানে কি পাইকারি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে? এক কার্টন কিনলে কয়টা ফ্রি দিবে?’
এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারত ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ মোদী ঠিকই ভ্যাকসিন নিয়ে আসছেন। এর মানে কী? নিশ্চয়ই ব্যক্তিগতভাবেই ভ্যাকসিনের ব্যবসায় নামার প্ল্যান করছেন তিনি। এইগুলা আমরা বুঝি।’
এমন ভূয়া খবরে মোদীর মুদি দোকান নিয়ে জনমনে নানান রকম আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দোকান গুলিস্তানে দিলে ভালো হবে বলে অনেকে পরামর্শ দিচ্ছেন। কোম্পানির প্রচারের জন্য ভ্যাকসিনের দাম ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে ১০০ টাকায় বিক্রির পরামর্শও দেন অনেকে।
তবে মোদীকে বাংলাদেশে দোকান না দেয়ার পরামর্শ দেন এমডি লিখন আহমেদ নামে এক ফেসবুকার। eআরকির একটা পোস্টে কমেন্ট করে তিনি জানান, ‘মোদী দোকান দিলে বাঙালি তো তার দোকান বয়কট করবে। ব্যবসা গুটিয়ে পথে বসা ছাড়া ওর হাতে আর কোন উপায় থাকবে না।’
মোদীর দোকানের বিষয়ে অতি আগ্রহী ফেসবুকার সায়েদ নিহাদ নামের বলেন, ‘মোদীর দোকানে কি তিস্তার পানি পাওয়া যাবে? পদ্মার পানিতে আর গলা ভিজতেছে না। পাইলে কিনতাম।’