অর্থনীতিবিদ, ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ, শিক্ষক, বক্তা, মোটিভেশনাল স্পিকার—ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গুণের যেন শেষ নেই। এতসব কাজ সামলেও তিনি এবার নতুন পরিচয়ে হাজির হয়েছেন। সম্প্রতি শুরু হওয়া বিপিএলের থিম সংয়ের দুটি লাইন তার লেখা বলে জানা গেছে।
ড. ইউনূসের মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন ব্যক্তিত্ব কোনো কাজ করলে সেটা মুহূর্তেই বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। বিপিএলের থিম সংও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই খবর সোজা পৌঁছে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পপ ব্যান্ড BTS-এর কান পর্যন্ত। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে তাদের বিশাল হুলুস্থুল।
দীর্ঘদিন ধরে গাইছে BTS। তাদের নাচ, গান, কোরিওগ্রাফি, মিলিয়ন মিলিয়ন ফ্যান—সবই ঠিক আছে। কিন্তু ব্যান্ডের সদস্যরা নিজেরাই মনে করছেন, তাদের গানের টেম্পো, টোন, আর বিষয়বস্তু সবই যেন একই রকমের হয়ে যাচ্ছে। নিজেদের এই পুনরাবৃত্তি থেকে মুক্তি চাইছিলেন তারা।
ঠিক এমন সময় বিপিএলের থিম সং তাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। ইউনূস ম্যাজিকের এমন শিহরণ তারা আগে কখনোই অনুভব করেনি। পুরো রাত তারা থিম সংয়ের লিরিক নিয়ে আলোচনা করে কাটায়। পরদিন সকালের আলো ফুটতেই তারা সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের পরবর্তী অ্যালবামের লিরিক্স ড. ইউনূস ছাড়া আর কেউ লিখতে পারবে না।
সূত্রের খবর, খুব শিগগিরই BTS বাংলাদেশে আসছে। তাদের পরিকল্পনা একটাই—ড. ইউনূসের হাতে পুরো অ্যালবামের গান না লিখিয়ে তারা ফিরবে না। এমনকি, তারা শুধু আসার টিকিট বুক করেছে বলে জানা গেছে; ফেরার কোনো চিন্তাই আপাতত তাদের নেই।
তাদের দাবির প্রতি ড. ইউনূস সাড়া না দিলে তারা ঢাকার রাজু ভাস্কর্যে BTS আর্মিকে ডাক দিয়ে তাদেরকে সঙ্গে করে সমাবেশ করবে বলেও জানা গেছে।
তারা Plan A, Plan B থেকে Plan E পর্যন্ত প্রস্তুত রেখেছে। দরকার হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে হুংকার দেওয়া হবে, কিংবা লং মার্চের ঘোষণা দেওয়া হবে।
BTS-এর এই তৎপরতার বিষয়ে ড. ইউনূস এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তিনি বৈষম্যের বিপক্ষে। কোরিয়ান বলে BTS-এর সঙ্গে কোনো অন্যায় আচরণ করবেন না। তাদের দাবি ভেবে দেখার জন্যই তিনি সময় নিচ্ছেন।