বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তখন তুমুল উত্তেজনার তুঙ্গে। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ আর পুলিশ বাহিনীর সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধছে ছাত্রদের, সাধারণ মানুষের। এর মধ্যে মেট্রোলেরে দুটি স্টেশনে কে বা কারা যেন আগুন লাগিয়ে দেয়।
একদিকে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন মুগ্ধ, আবু সাঈদসহ আরও অসংখ্য ছাত্র ও সাধারণ জনতা। মেট্রোরেলে হামলা হবার পর খবরের চ্যানেলগুলোতে নিম্নোক্ত হেডলাইন ভাসতে থাকে।
‘নাশকতাকারীদের শুক্রবারের (১৯ জুলাই) সহিংসতায় অচল মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন। এ দুই স্টেশন পুনরায় চালু হতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।‘
আওয়ামী প্রোপাগান্ডা অনেক ফেসবুক পেজ থেকে টুইস্ট যোগ করে জানানো হয়েছে, মেট্রোরেল এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে, এক বছরেও তা চালু হবে না।
এদিকে গতকাল থেকে চালু হয়েছে মেট্রোরেল। যদিও এই দুই স্টেশন এখনও চালু হয়নি। চালু হবে দ্রুতই।
তবে বিষয়টিকে একবারেই ভালোভাবে দেখছেন না শেখ হাসিনা। একটি ফেক আইডি থেকে এত দ্রুত মেট্রোরেল খুলে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ফেক আইডি থেকে তিনি বলেন, অন্তত ৬ মাস সময় তো তারা লাগাতে পারত। বাংলাদেশের মানুষকে এত আরাম দেওয়ার তো কিছু নেই। আরাম পেলেই এরা সমালোচনা শুরু করে। মেট্রোরেলে চড়ে অফিস, বাসায় গিয়ে এরা আবার কিবোর্ড ধরবে আমার সমালোচনা করার জন্যই।
মেট্রোরেল ঠিক হয়ে গেলেও বাকি দুইটি স্টেশন যেন সহজে ঠিক করা না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে বলেছেন হাসিনা। নিজের ফেক আইডি থেকে তিনি বলেন, এদেরকে আমি বিদ্যুৎ দিছি, মোবাইল দিছি, সেই বিদ্যুৎ, মোবাইল ব্যবহার করে ওরা আমার বিরুদ্ধে গেছে। এজন্য আমি মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবতাম। বর্তমান সরকারকেও এভাবে ভাবা উচিত। দুইটা স্টেশন অন্তত ২ বছরের মধ্যে চালু করা ঠিক হবে না। এরা আরও একটু কষ্ট করুক। বুঝুক, আমি কী ছিলাম!
