বাঙালির জীবনে 'ডাকাডাকি' কেন্দ্রীক অভিমান বেশ পুরোনো। এর শুরুটা হয়েছিলো 'ভাইয়া' সম্বোধন সংক্রান্ত অভিমান দিয়ে। এরপর বাঙালিকে 'ফ্রেন্ড জোন' ঘটিত অভিমান ভাবিয়েছে বেশ কিছুদিন। তবে এবার সম্পূর্ণ নতুন এক অভিমান নিয়ে হাজির হয়েছেন কাদম্বরী দেবী। রবীন্দ্রনাথের ওয়ালে গিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে 'ভাবী' সম্বোধনে নিজের অস্বস্তির কথা জানালেন এই বিদূষী নারী।
রবি ঠাকুরের ওয়ালে কাদম্বরীর এরূপ পোস্ট দেখে আমরা স্থির থাকতে পারিনি। কাল বিলম্ব না করে তার মেসেঞ্জারের দরজায় কড়া নাড়িয়ে জানতে চাইলাম, 'ঘটনা কী শ্রীমতি?'
কাদম্বরী দেবী তাঁর নীল কন্ঠে চাপা অভিমান প্রস্ফুটিত করে বললেন, 'অনেক তো হলো! ঠাকুরপোকে নিয়ে আর পারছি না বাপু। এখনো সেই পুরোনো সম্বোধনেই তার নাকি প্রশান্তি!'
তবে কি বৌদি, থুক্কু, দিদি অন্য কোনো ডাকের আকাঙ্ক্ষায় অন্তর্দহনে ভুগছেন, এমন প্রশ্নে কাদম্বরী সাঁয় দিলেন না। হয়তো চোখের কোণে জল লুকিয়ে বললেন, 'অতশত প্যাঁচ আমি বুঝি না। আদুরে ডাক পাওয়ার আহ্লাদ আমি করিও না। আমি শুধু চাই ও আমাকে আর 'নতুন বৌঠান' না বলুক। কষ্ট হলে নাহয় নাম ধরেই ডাকুক। আমার নাম কি খারাপ?'
এ পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথের প্রোফাইলে এখনও রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস সিঙ্গেল থাকা ব্যাপারে তিনি তীব্র আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
'এত লুকোচুরি আর ভাল লাগে না' এটা বলেই একটি 'সেন্টি ইমো' দিলেন কাদম্বরী। তারপর হয়তো ব্যাকস্পেস চাপার সময়টুকু নিলেন। এরপর বিষাদ মিশ্রিত কন্ঠে পাঠালেন একটি ভয়েস মেসেজ।
সেই ভয়েস মেসেজে এক নিঃশ্বাসে বললেন, 'আমার আর রবির ব্যাপারগুলা তো এখন ওপেন সিক্রেট! এখন তো জ্যোতিও সব জানে! ফ্রেন্ডলিস্টের অচেনা ব্যক্তি থেকে শুরু করে পত্রপত্রিকার বিনোদন প্রতিবেদক, সবাইকে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমি বড্ড ক্লান্ত! এতকিছুর পরও যখন ও আমাকে বৌঠান বলে ডাকে, তখন মনে হয় ভবলীলা সাঙ্গ করে রবির কাছ থেকে চলে যাই অনেক দূরে। সবসময় এই ভাবীজোনিং আর ভাল্লাগে না, আবারও সুইসাইড করতে ইচ্ছা হয়...'
এই পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথ দ্রুত অনলাইন হয়ে তার ওয়ালে কাদম্বরীর পোস্টটি অনলি মি করে একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে দেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন