একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে শেষমেষ শরিকদের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হলো নরেন্দ্র মোদি। গণতন্ত্রের অনেক প্রতিষ্ঠানকে নিজেকে পকেটজাত করে রাখলেও শেষমেষ একটা সুষ্ঠু ভোটের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। কিন্তু সেটি কি কোনোভাবে সম্ভব হতে পারতো? পারতো। একক সংখ্যাগরিষ্টতা পেতে পারতেন নরেন্দ্র মোদি, যদি তিনি শিক্ষা নিতেন বাংলাদেশ থেকে। কী সেই শিক্ষা? চলুন জেনে আসা যাক।
১# নির্বাচনে ডামি প্রার্থীর ব্যবস্থা রাখা
বাংলাদেশ সরকারের বাজিমাতের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হচ্ছে ডামি প্রার্থী। মোদিও সারাদেশে বিজেপি প্রার্থীদের পাশাপাশি একটা করে বিজেপি থেকেই ডামি প্রার্থী রাখতে পারতো। তাহলে ওকে আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টেনশন করতে হতো না। আওয়ামীলীগকে যেমন টেনশন করতে হয়নি।
২# শেষ একঘণ্টায় ম্যাক্সওয়েলকে নিয়োগ দেয়া
মোদি সরকারের আরেকটা ভুল হলো ম্যাক্সওয়েলকে নিয়োগ না দেয়া। ভাবতেই কষ্ট লাগে, আইপিএলে সবসময় খেলা একটা খেলোয়াড় কীভাবে মোদির চোখ এড়িয়ে গেল। বাংলাদেশের নির্বাচন লক্ষ করলে দেখা যাবে সারাদিনে যেখানে ভোট পড়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ সেখানে শেষ এক ঘন্টাতেই ভোট পড়েছে ১৪ শতাংশ। লোকমুখে প্রচলিত আছে শেষ এক ঘন্টায় মাঠে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। খেলেছেন ২০০ স্ট্রাইক রেটে। মোদি সরকার ম্যাক্সওয়েলকে নিয়োগ দিয়ে দিতে পারলে আর কোনো টেনশনই ছিলো না।
৩# গোরস্তানবাসীর প্রতি আস্থা
মোদি সরকারের আরেকটা বড় ভুল হলো গোরস্থানবাসীর প্রতি আস্থা না রাখা। দিনশেষে তো এইসব প্রয়াত মানুষদের দোয়াই নির্বাচনে ব্যবধান তৈরি করে দেয়। যে দোয়াগুলো নিজেদের দিকে টানতে পারলে মোদিকে আর চিন্তা করতে হতো না।
৪# রাতের সময় কাজে লাগানো
মোদির সম্ভবত রাত জাগার অভ্যাস নাই। যার প্রভাব পড়েছে ভোটের ফলাফলে। রাত তো ঘুমানোর জন্য না, এটা অন্তত মোদির বোঝা উচিৎ ছিল। পাকিস্তানের দিকে তাকান, রাতের বেলা সংসদে এক ভোটেই ইমরান খানের গদি নড়ে গিয়েছিল তাছাড়া বাংলাদেশেও তো ভোটের আগের রাত জাগা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা তো আমরা জানিই।