১০০ টাকা প্রবেশ মূল্য করার পর সাধারণ দর্শনার্থীরা যেসব সুযোগ সুবিধা চান বোটানিক্যাল গার্ডেনে

৫০০ পঠিত ... ১৮:১৭, জুলাই ১৪, ২০২৪

24

ঢাকার ডেটিং কালচারে বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান অনন্য। একদম শুরু থেকেই স্কুল কিংবা কলেজ, ঢাকায় ঘুরতে আসা নতুন মানুষ, কিংবা শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র ছাত্রী, অথবা যেকোনো বয়সের কাপলের জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেন সবসময়ই আবেদনময়ী হিসেবে নিজেকে ধরে রেখেছে। ২০ টাকার প্রবেশ মূল্য, ২০ টাকার বাদাম, ২০ টাকার পানি মোটে ৬০ টাকা খরচ করে টোনা-টুনি মিলে বেশ কয়েক ঘণ্টা একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ ছিল কিছুদিন আগ পর্যন্তও।  

প্রেমিক প্রেমিকাদের কাছে বোটানিক্যাল গার্ডেনের স্মৃতি এখন আর আগের মতো নেই। কিছুদিন হলো প্রবেশ মূল্য বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। ১০০ টাকার প্রবেশ মূল্য দিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘুরতে গেলে মনে হয় যেন কোনো এক প্রাচীন জনপদে প্রবেশ করে খেই হারিয়ে ফেলছে মানুষ। একটা জায়গায় যেখানে ৬০ টাকা খরচ করে আয়েশি ডেট করা যেত এখন তার প্রায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করে ঢুকতে হচ্ছে।

১#

যারা নিয়মিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে যান, তারা কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অনেক আগেই। অনেকেই অনিয়মিত যান বলে পুরো এলাকাটা ঐভাবে চেনেন না। এমন আনাড়ি মানুষদের জন্য বিশেষ একটা ম্যাপ রাখার কথা চিন্তা করার কথা ভাবতে বলছেন তুখোড় ডেটাররা। এমন একটা ম্যাপ দরকার যেখানে বিভিন্ন নিরাপদ ও অনিরাপদ স্থান মার্ক করা থাকবে।

২#
এছাড়া বাদাম ওয়ালারা যখন তখন এসে ডিস্টার্ব করে বলে ঠিক মন দিয়ে আলাপ জমাতে পারেন না কাপলরা। তারা চান প্রত্যেকটা বসার জায়গায় একটা করে ডিজিটাল বাটন থাকবে। এই বাটনে চাপ দিলে গার্ডেনে থাকা সবথেকে কাছের বাদাম ওয়ালার কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে। তিনি এসে বাদাম দিয়ে টাকা নিয়ে যাবেন।

৩#
এছাড়া বোটানিক্যাল গার্ডেনের ফটকের সামনে যে সাউন্ড সিস্টেম রাখা হয়েছে সেটাকে উঠিয়ে ফেলে ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় ভালো ভালো কিছু ব্লুটুথ সাউন্ড সিস্টেম রাখার দাবি উঠেছে সাধারণ প্রবেশকারীদের মাঝে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঢুকলেই অদ্ভুত সব আওয়াজ শোনা যায়, যা সাধারণ মানুষের জন্য প্রায় ভুতুরে। ছোটো বয়সে ভয় পেয়ে ব্লাড প্রেশার বাড়াতে চান না কেউ।

৪#
এছাড়া বোটানিক্যাল গার্ডেনে তাবু ভাড়া দেওয়ার জোর দাবি জানানো হচ্ছে। মনোরম একটা প্রকৃতির মধ্যে থেকে আরাম করে ঠান্ডা পানীয়, মুরগির রোস্ট খাওয়ার জন্য কেউই আর সিলেট কিংবা পার্বত্য চট্টগ্রামে যেতে চান না। যদি ঢাকার ভেতরই এমন টেন্ট করে থাকার সুবিধা পাওয়া যায় তাহলে সেটা তাদের জন্য অনেক বেশি রোমাঞ্চকর হবে।  

৫#

বোটানিক্যাল গার্ডেনের সাধারণ ও অসাধারণ প্রবেশকারী সবার একটাই চাওয়া, বোটানিক্যাল গার্ডেন আবার আমাদের হোক, আমাদের সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ পাওয়ার জায়গা হোক।

 

৫০০ পঠিত ... ১৮:১৭, জুলাই ১৪, ২০২৪

Top