ভোট দেওয়া আমাদের নাগরিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শুধুমাত্র আইনের সুশাসনই নয়, এটি ব্যক্তিজীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিসগুলোকেও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে। আজ ৭ জানুয়ারি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে যাবার আগে ভোটদান সফল করার জন্য কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. সকাল সকাল উঠুন
ভোটদানের আগের দিন রাত জাগবেন না। সকাল সকাল উঠে পড়ুন৷ ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি খাবেন। পারলে বারান্দা, ছাদ কিংবা নিজের ঘরেই ৫-৭ মিনিট হাঁটাহাঁটি করবেন। এতে করে মন ফ্রেশ থাকার পাশাপাশি মস্তিষ্কেও অক্সিজেন চলাচল বৃদ্ধি পাবে।
২. খাওয়া-দাওয়া না করে ভুলেও কেন্দ্রে যাবেন না
অনেকেই দুশ্চিন্তাবশত খাওয়া দাওয়া ছাড়াই ভোটকেন্দ্রে চলে যান। এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাবার একটা সম্ভাবনা থাকে। এর আগেও ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে নার্ভাসনেস থেকে মানুষ অসুস্থ হয়ে গেছে। সুস্থ থাকতে চাইলে হালকা খাবার খেয়ে বের হোন। সাথে পানির বোতল/ স্যালাইন/ গ্লুকোজ নিতে একদম ভুলবেন না।
৩. চাইতে পারেন সৃষ্টিকর্তার সাহায্য
যাবার আগে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন। আপনি যে ধর্মালম্বীরই হন না কেন, প্রার্থনা আপনার মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে অনেকটুকু।
আপনি যাতে কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই সফলভাবে ভোট দিতে পারেন এজন্য সাহায্য চান। ঘর থেকে বাম পা ফেলে বের হোন। একবার বের হওয়ার পর পেছনে ফিরে তাকাবেন না। এতে অমঙ্গল হবার সম্ভাবনা থাকে।
৪. কেন্দ্রে গিয়ে বেশি কথা বলবেন না
কেন্দ্রে গিয়ে অনেকেই হড়বড় করে অনেক কথা বলেন। 'দোস্তো কেমন আছিস, কী খাইছিস' জাতীয় ফালতু কথা বলার লোকসংখ্যা অনেক বেশি। এদের থেকে সাবধান, আপনাকে ডিসট্রাক্ট করে ম্যানিপুলেট করার জন্যই এরা পেইড এজেন্ট হিসেবে থাকে। কেন্দ্রে গিয়ে কারো সাথে বেশি কথা বলবেন বা মিশবেন না।
কাকে ভোট চান বারবার মনে করুন, কনফিউজড হবেন না।
৫. নোটখাতা রিভিশন দিন
যাবার আগে নোটখাতাটি একবার উল্টে যান। কাকে, কেন ভোট দিতে চান, সে কী কী প্রতিজ্ঞা দিয়েছে, আগের পাস্ট হিস্ট্রি কেমন ইত্যাদি ব্যাপারে একটা রিভিশন ভীষণ হেল্পফুল। এতে ভোট চলাকালীন সময়ে কনফিউজড হবার সম্ভাবনা কমে যায় ৫৬.৮৭ শতাংশ। আপনার মনোনীত প্রার্থীর নামে কে কী বললো সেসব শুনবেন না। যাকে ভোট দিতে এসেছেন তাকেই ভোট দিন।
৬. ভয় পাবেন না
হার্টের সমস্যা,স্ট্রোক কিংবা হাইপারটেনশনের রোগীদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয়।
আপনার মৃত আত্মীয়স্বজন কিংবা প্রিয়জনের সাথে দেখা হলেও ভয় পাবেন না। পাঁচ বছর পরপর এই দিনে তারা পৃথিবীতে নেমে আসবে এটাই সত্য, সত্যকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে পালপিটেশন বা আ্যারিদমিয়া কমাতে ব্যাগে রাখে পারেন ইনডেভার ১০।
আপনার ভোটযাত্রা শুভ হোক!