রমজানের সময় সেহেরিতে কাউকে ঢেকে তোলা যেন যুদ্ধ জয় করার মত অবস্থা। শত চেষ্টার পর কেউ কেউ জাগে কেউ কেউ জাগেই না। এরপর সকালে উঠে সেহেরিতে না জাগিয়ে দেয়ার জন্য হা হুতাশের পাশাপাশি সম্পর্ক ছিন্ন করার গল্পও ইতিহাসে কম নেই। eআরকি এই ধরণের সমস্যার সমাধান নিয়ে আছে আপনার পাশে। সেহেরি পর্যন্ত জেগে eআরকির আইডিয়াবাজরা খুঁজে বের করেছে সেহেরিতে কাউকে জাগিয়ে তোলার ১০ টি ইফেক্টিভ পদ্ধতি।
১# কিছু মশা চাষ করতে পারেন। একটু হৃষ্টপুষ্ট হলে মশাগুলোর গলা চেক করে সেহেরির সময় তাদেরকে জাগাতে চাওয়া ব্যাক্তির মশারির ভেতর ছেড়ে দিন। বাকি কাজ মশাদের, আপনি নিশ্চিন্ত।
২# বাসার দেয়ালে হাঁতুড়ি দিয়ে পিটাপিটি করতে পারেন। কিংবা বাসার ফার্নিচার নাড়ানাড়ি করতে পারেন। এতে নিজের ঘরের মানুষের পাশাপাশি নিচ তলার মানুষরাও উঠে যাবে।
৩# ঘুম থেকে তোলার জন্য পানি মারা অনেক পুরোনো পদ্ধতি। বরং ঘুমিয়ে থাকা কুম্ভকর্ণকে পাঁজাকোলা করে পুকুরে ছেড়ে দিন।
৪# ফ্যান বন্ধ করে দিলে উঠবে হয়তো। কিন্তু ঘুমের ব্যাপারে অধ্যবসায়ী ব্যক্তিরা উঠে ফ্যান চালিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়বে। আপনি বরং বাসার মেইন সুইচ অফ করে দিন।
৫# এক ধাপ এগিয়ে থাকুন। ঘুমানোর আগেই উঠানোর ব্যবস্থা করে ফেলুন। একদম প্রি-প্ল্যানড যাকে বলে। সেহেরির সময় উঠতে না চাওয়া ব্যক্তিকে ঘুমানোর আগেই জোর করে কয়েক জগ পানি খাওয়ান। এরপর বিশেষ চাপে সে নিজে নিজেই উঠে যাবে।
৬# ভূমিকম্পের ব্যবস্থা করতে পারেন কি না দেখুন। এতেও না উঠলে কানে কানে ফিসফিস করে বলেন, ভূমিকম্প হয়েছে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিবি না? দেখবেন উঠে যাবে।
৭# ঘুমন্ত ব্যক্তির রুমে হিরো আলম কিংবা মাহফুজুর রহমানের গান ছেড়ে দিয়ে দেখতে পারেন।
৮# কানে কানে গিয়ে বলুন, 'পত্রিকাতে সৃজিত-মিথিলার খবর এসেছে, তুই না অনেক টেনশনে ছিলি!' কাজ হবে।
৯# উপরের কোনটা কাজ না করলে ফেসবুকে মেসেজ দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে গত ১০ বছর ধরে সেহেরির সময় ফেসবুকে মেসেজ দিয়েই ৮০% মানুষকে জাগানো হয়েছে।
১০# কাউকে সেহেরির সময় জাগানোর সবচেয়ে ইফেক্টিভ পন্থা হচ্ছে তাকে ঘুমাতে না দেওয়া। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সেহেরির আগে ঘুমায়নি তারা সেহেরির সময় নিজে নিজেই জেগেছে ও অন্যদের জাগিয়েছে।