বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের পুরোটাই দখল করে আছে করোনাভাইরাস। চীন থেকে শুরু হওয়া এই ভাইরাস দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইউরোপসহ গোটা বিশ্বেই একের পর এক মারা যাচ্ছে মানুষ। এদিকে ঢাকার চাইনিজ অ্যাম্বাসেডর লাই জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর বড় ঝুঁকির কথা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও মারা গেছে ১ জন, আক্রান্তের সংখ্যা ১০ ছাড়িয়েছে।
তবে আমাদের এক্সপার্টরা ভেবে দেখেছেন, সব সম্ভবের এই দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রায় অসম্ভবই বলা যায়। ভাবছেন কীভাবে? নিচের কারণগুলো একবার ভেবে দেখুন!
১# করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার প্রথমে নাপা দিবে। নাপায় না সারলে প্যারাসিটামল দিবে। প্যারাসিটামলে না সারলে অন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিবে। এভাবে নানান ঔষধ খেতে খেতে আক্রান্ত ব্যক্তি একসময় ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মারা যাবে। তার ডেথ রিপোর্টেও একই কারণ লেখা থাকবে।
২# করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি সনাক্ত হওয়ার আগেই বা সনাক্ত হওয়ার পরেও সড়ক দুর্ঘটনায় মরে যেতে পারে। এক্ষেত্রেও করোনা ভাইরাস সফলতার ক্রেডিট নিতে পারবে না।
৩# করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পরীক্ষা করতে গেলে ডাক্তার এত এত পরীক্ষা দিবে যে, করোনা ছাড়াও মৃত্যুর আরো ১০-১২ টা কারণ বের হয়ে আসবে। এমনকি বিভিন্ন টেস্ট করার পর বিল হাতে নিয়ে হার্ট এটাকেও মৃত্যু হতে পারে...
৪# আমাদের দেশের সার্ভিস যেই লেভেলের ধীরগতির, করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ টেস্টের রিপোর্ট আসার পূর্বেই রোগী মারা যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখা যাবে, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া’ ব্যাপারটা রিপোর্টে লেখা নেই।
৫# আমাদের দেশের মেশিন তো প্রায়ই ভুল তথ্য দেয়। কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে দেখা যাবে রিপোর্টে কারণ হিসেবে লেখা ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু’...
৬# করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও ‘জাত যাবে’ ভাবনায় বেশিরভাগ মানুষই তা শেয়ার করবে না। মারা গেলে তো পোস্টমর্টমও করতে দিবে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেপুটেশন যাওয়ার ভয়ে মৃত্যূর আসল কারণ প্রচারও করতে চাইবে না!
৭# করোনা ভাইরাসকে সামান্য জ্বর-সর্দি আর মাথাব্যথা ভেবে কেউ কেউ হয়তো পাশের ‘ফার্মেসির ডাক্তার’ এর পরামর্শে সমানে প্যারাসিটামল খেতে খেতেই একদিন মরে যাবে।
৮# করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য হলেও দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ০ এর উপরে উঠবে না। মারা যাওয়া তো অনেক পরের বিষয়!
৯# করোনা ভাইরাস আরেকটু ছড়ালেই এই ভয়ংকর ভাইরাসের প্রতিরোধের অসংখ্য ভুল এবং অবৈজ্ঞানিক উপায় বের হবে। কেউ ফেসবুকে লিখবে, ‘নিঃশ্বাস নেয়া বন্ধ করলেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই’, কেউ বা লিখবে, ‘ঘুমানোর সময় মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ঘুমান’... আতঙ্কের চোটে এইসব ভুল পরামর্শ ফলো করতে গিয়েই কিছু মানুষ মারা যেতে পারে…
১০# উত্তর কোরিয়ায় সম্প্রতি ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ’ করতে আক্রান্ত একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে (ওয়াও! কী সুন্দর সমাধান!)। আর আমাদের দেশে তো ‘মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলো’ এই নিয়ম আগে থেকেই প্রচলিত। সুতরাং… কে জানে… আচ্ছা থাকুক বললেই তো বলবেন বলছি...