রাজধানীসহ দেশের আটটি জেলার ১১টি সরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২১ জানুয়ারি সোমবার সকাল থেকে সংস্থাটি একযোগে অভিযান চালায়। দুদক জানিয়েছে, এ সময় হাসপাতালগুলোতে ৪০ শতাংশ চিকিৎসকই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। উপজেলা পর্যায়ে অনুপস্থিতির হার আরও বেশি, প্রায় ৬২ শতাংশ (সূত্র: প্রথম আলো)। দুদকের অভিযানে অনুপস্থিত থাকা এমনই এক ডাক্তার যদি দুদকে অনুপস্থিতিজনিত আবেদনপত্র পাঠাতেন? ভাবতে চেষ্টা করেছিল eআরকির নিয়মিত অনুপস্থিত থাকা আইডিয়াবাজদের একাংশ!
বরাবর
মহাপরিচালক
দুর্নীতি দমন কমিশন।
বিষয়: অনুপস্থিতিজনিত কারণে জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি মো: ডাক্তার হোসাইন, পিতার নাম আক্তার হোসাইন, মাতার নাম সালেহা বেগম স্ত্রীর নাম নুরুন্নাহার শ্বশুরের নাম সামাদ আলী শালার নাম জহির, সে স্থানীয় ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক। আমি দিনাজপুর সদর হাসপাতালের একজন অনিয়মিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। গত ২১/০১/২০১৯ ইংরেজি তারিখ রোজ সোমবার সকালে আমি হালকা অসুস্থতা ও রুটিন চেকআপের জন্য অন্য হাসপাতালে একজন মেডিসিন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কারনে নিজের হাসপাতালে উপস্থিত হতে পারিনি। এর আগেও আমি একই কারণে নিয়মিত হাসপাতালে অনুপস্থিত থেকেছি, কিন্তু আপনারা প্রতিদিন খোঁজ নিতে আসেন না বলে আগে ধরা খাইনি। কিন্তু এই ঘটনায় আমার কোনো দোষ নাই, কারণ আমি যে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট প্রতিদিন চেক আপের উদ্দেশ্যে যাই, তাকে কখনো হাসপাতালে পাইনি। এজন্য কোনোদিনই আর চেকআপ করা হয়ে ওঠে না আর আমাকেও পরেরদিন আবার হাসপাতালে অনুপস্থিত থেকে সেখানে চেকআপের জন্য যেতে হয়।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার উক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা পূর্বক অনুপস্থিতির জন্য নির্ধারিত জরিমানা ও শাস্তি মওকুফ করে বাধিত করবেন। ফ্যামিলির কারো কোনো অসুস্থতা থাকলে জানাবেন, ভিজিট লাগবে না। প্রয়োজন হলে বলবেন।
বিনীত
আপনার একান্ত বাধ্যগত ডাক্তার,
ড: ডাক্তার হোসাইন।
চেম্বার: ডাক্তার ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
দিনাজপুর কলেজ রোড, দিনাজপুর।
রোগী দেখার সময়: প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বেলা ২ টা ও বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা।
ভিজিট ৮০০ টাকা।
অগ্রীম সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ: 01217546419