সিয়াম মধ্যবিত্ত পরিবারের গরীব ছেলে। ছোটোবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল, দেশের বাইরে যাবে। পড়াশোনায় খুব একটা ভালো না হওয়ায় স্কলারশিপ তার কপালে জুটলো না। তবু সিয়াম হাল ছাড়ার পাত্র না। সে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য চেষ্টা করতে শুরু করল। কখনও মেডিকেল, কখনও ভাইবাতে তাকে আটকে দেয়া হলো। ১, ২, ৩ করে মোট ১২ বার ভিসা রিজেক্ট হলো সিয়ামের! আশা ছেড়ে দেবে দেবে অবস্থায় সে দেখা পেল তার বন্ধু আকিবের।
আকিবও সিয়ামের মতোই। মধ্যবিত্তদের মধ্যে উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তান। আকিব গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো বিদেশের অ্যাপ্লাই করে। প্রথমদিকে সে নিজেও চিন্তা করেনি তার ভিসা হয়ে যাবে। এয়ারকুলারটা কিনে আনার ঠিক দুইদিন পরে আকিব তার মোবাইলের ভুয়া নোটিফিকেশন বারে দেখল তার ভিসা হয়েছে। সে আজ রাতেই দেশের বাইরে চলে যাবে, তার কাছে আর মাত্র ৬ ঘণ্টা সময় আছে। এই ৬ ঘণ্টার মধ্যে তাকে যেভাবেই হোক এয়ারকুলারটা বিক্রি করে তারপর বিদেশ যেতে হবে।
নিজের এমন সফলতার পরই আকিব বন্ধু সিয়ামকে কল করে। এবং সিয়ামকে জানায়, ‘গত ১২ বার তোর ভিসা রিজেকশন হলেও আমার কাছে এমন নিঞ্জা পদ্ধতি আছে যে একবারেই তোর ভিসা হয়ে যাবে! তুই এখনই আমার সাথে চল, আমরা একটা এয়ারকুলার কিনে আনি। দেখবি, এয়ারকুলার কিনতে দেরি হবে ভিসা পেতে দেরি হবে না! আমি নিজে গ্যারান্টি!’