আজ পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন। সারাদিন রোজা রেখে শ্রান্ত হলেও নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বহাল আছেন চাকুরিজীবীরা। রোজা থাকা ছাড়া তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পরিবর্তন নেই। তবে চাকুরিজীবী সমাজ নতুন এক আবদার নিয়ে এসেছেন এই রমজানে। এই এক মাসেই ৭০ মাসের স্যালারির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চাকুরীজীবী সোসাইটি (বাচসো)'র সভাপতি জানান, ‘এই মহিমান্বিত মাসে এমন দাবি অমূলক নয়। আমরা সারাদিন রাত পরিশ্রম করি, ভালো কাজ করি। এই ৭০ মাসের স্যালারি আমাদের প্রাপ্য।’
এমন দাবির কারণ কী—এমন প্রশ্নের উত্তরে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। বাচসোর যুগ্ম সচিব বলেছেন, 'আপনাদের বিবেক আছে, আপনারা শিক্ষিত মানুষ —আপনারাই বুঝে নেন... ’
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এই দাবি অস্বীকৃতি জানালে ধর্মঘট এবং একযোগে কর্মবিরতির কথা ভাবছে চাকুরিজীবী পরিষদ। তবে তাদের দাবি মেনেও নিয়েছেন এমন প্রতিষ্ঠানও কম নয়। আইএফএলসি ব্যাংক, গ্রিন আর্থ নামক কিছু প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহমত জ্ঞাপন করেছেন। এমন অমূলক দাবি মেনে নেওয়ার রহস্য জানতে চাইলে গ্রিন আর্থের এমডি বলেন, 'ধুর মিয়া, রাখেন স্যালারি। ৭০ মাসের টাকা দিবো ঠিকই, কিন্তু লোনে। পরে সুদে আসলে ফেরত দিতে হবে, আর দিতে না পারলে জমি জমাসহ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। হে হে হে...’
তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন আলাপ দিচ্ছেন গার্মেন্টস মালিকরা। এমন দাবির কথা শুনে হাসতে হাসতে এক গার্মেন্টস মালিক বলেন, 'এইসব ভগিছগি আলাপ বাদ দিয়া কাজ কর শ্রমিকের দল। মেশিন যেন বন্ধ না হয়। ৭০ মাসের বেতন তো দূরের কথা, এই মাসের বেতন-বোনাসও পাবি না। আমি চলে যাচ্ছি আত্মগোপনে। ইদের পর দেখা হবে।’