আজ প্রকাশিত হয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল। জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলোর মধ্যে একটি হলো এই এইচএসসি পরীক্ষা। এদিন অনেকের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। কেউ স্বপ্নের এক ধাপ কাছে পৌঁছায়, আবার কেউ এক ধাপ দূরে। আর ফেল করলে তো কথাই নেই! জীবনে নেমে আসে মেঘের ঘনঘটা।
মেঘ নেমে আসা মানুষদের জন্য দু'হাত বাড়িয়ে থাকেন বিসিএস ক্যাডার, (চেহারা সুন্দর হলে) আর্মি অফিসার এবং কিছু ক্ষেত্রে রিকশাওয়ালারাও। তাই তাদেরও বিশেষ কোনো চিন্তা নেই। তবে এবার কথার সাথে কাজের মিল রাখতে ফজলু নামে ফেল করা এক শিক্ষার্থীকে রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দিতে চান ফজলুর বাবা। এ ব্যাপারে ফজলু জানান, ‘আমি মাত্র দুই বিষয়ে ফেল করেছি। আব্বা আগে থেকেই বলতো ফেল করলে রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবো। আমি বুঝি নাই যে সে আসলেই এতো সিরিয়াস। আমার খুব ভয় লাগতেছে। আমার গার্লফ্রেন্ড আছে, বাচ্চাকাচ্চার নামও ঠিকঠাক করা। আমার রিকশাওয়ালাকে বিয়ে করতে পার্সোনালি সমস্যা নাই, তবে আমার গার্লফ্রেন্ড আমাকে খুন করতে পারে। তাই আগেই থানায় একটি জিডি করে রাখবো বিয়ের দিন ভাবছি....’
ফজলু ট্রাজেডি এখানেই শেষ নয়। এদিকে ফজলুর ক্লাসের আরেক ছাত্র মানিক জিপিএ-৫ পেয়েও একটি রিকশা কিনেছেন। উদ্দেশ্য একটাই, রিকশা চালাবেন। এত ভালো ফলাফল করার পরও কেনো রিকশা চালাবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে মানিক মুচকি হেসে বলেন, ‘ফজলুর ওপর আমার ক্রাশ আরও আগে থেকেই। ও দুটো বিষয়ে ফেল করার পর শুনলাম ওর বাবা যোগ্য রিকশাওয়ালা খুঁজছে। তাই ক্রাশের জন্য এতটুকু স্যাক্রিফাইস বলা চলে!... ’
তবে ‘ফেল করলে রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দিবো’ জাতীয় বাক্যের তীব্র নিন্দা করে তীব্র ঘর্মঘট ডেকেছেন জাতীয় রিকশাওয়ালা পরিষদ। তাদের দলনেতা eআরকিকে বলেন, ‘আমাদের কি স্ট্যাটাস নাই? আমাদের বউরা এখন বেশিরভাগই বিএ পাশ। আমরা আর ফেল করা ইন্টারের মেয়ে বিয়ে করি না। আমি নিজেও ডিগ্রী পাশ। কথা বুইঝা শুইনা বলবেন...’