জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তমতে, আগামী ৫ মে কোনো ছুটি থাকছে না। ঈদের ছুটিকে লম্বা করতে হলে ব্যক্তিগতভাবে ওইদিন ছুটি নিতে হবে। অর্থাৎ, ছুটি না নিলে করতে হবে অফিস।
ছুটি না পাওয়ার এই খবর জানা মাত্রই চাকরিজীবীদের মধ্যে শুরু হয়েছে শোকের মাতম। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পাশের কলিগকে জড়িয়ে ধরেছেন৷ চোখ মুছে ফেলেছেন একে অন্যের জামায়।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নিখিল বাংলা চাকরিজীবী সমিতি একটি গণকান্নার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বৃহষ্পতিবার এই আয়োজনে এসে চাকরিজীবীরা টানা ৫ ঘন্টা কাঁদবেন। একটি অঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে এসে কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা জানিয়েছেন চাকরিজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি।
হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে নিজের শার্টের আস্তিনে চোখ মুছে সভাপতি বলেন, 'খুব বেশি কিছু চাইনি আমরা৷ চেয়েছিলাম একটি দিনের ছুটি। এতটুকুও কি আমরা পেতে পারি না?' এসময় পাশে থাকা অন্য চাকরিজীবীরাও ফ্যাচফ্যাচে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে প্রশ্ন করেন, 'কেন পেতে পারি না?'
গণকান্নার এই আয়োজনকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন,'জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনেই হবে এই কান্নাসভা। এদিন কান্নার বন্যায় ভেসে যেতে পারে গোটা মন্ত্রণালয়।' এসময় পাশে থাকা কলিগরাও 'সহমত! সহমত!' বলে ফোঁপাতে থাকে।
সবাইকে এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করার আহবান জানিয়ে সভাপতি আরো বলেন,'আপনারা গ্লিসারিন নিয়ে আসুন। পেয়াজ নিয়ে আসুন। গণকান্নার এই আয়োজন যেকোনো মূল্যে সফল করতে হবে। ছুটি আদায় করেই ছাড়বো আমরা।'
অবশ্য এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনৈক অফিস সহকারী সাইডে ডেকে বলেন, 'কান্নাকাটি কইরা লাভ নাই৷ কিছু মালপানি ছাড়লে আমি স্যারগো রিকুস্ট করবার পারি।'