চলছে ঢাকা কলেজ এবং নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে তুমুল লড়াই। দু’পক্ষই ইটপাটকেল হাতে নিজেদের অবস্থানে অনড়। এদিকে এই সংঘর্ষের খবর ইতোমধ্যে পৌছে গেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। সেই সূত্রে ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছে আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যেও।
সংঘর্ষের খবর শোনা মাত্রই নির্দিধায় ঢাকা কলেজের পক্ষ নিয়েছে হোয়াইট হাউজ। জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, 'আমি চাই এই যুদ্ধে ঢাকা কলেজের জয় হোক। নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের নৈরাজ্য অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।'
ছয়শো টাকার প্যান্ট ওরা আমার কাছে বাইশশো টাকায় বিক্রি করেছে, এমনটা উল্লেখ করে বাইডেন আরো বলেন, 'এরকম ব্যবসায়ীদের পরাস্ত করতে প্রয়োজনে আমি সৈন্য পাঠাতেও প্রস্তুত।'
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়েছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'আমেরিকার মদদপুষ্ট এই ঢাকা কলেজকে এখনই থামাতে হবে৷ ইউক্রেনের মতই এদের শোচনীয় অবস্থা দেখে যেতে চাই আমি।'
রাশিয়ান ইট কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানিয়ে পুতিন ওই ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, 'ব্যবসায়ীদের হাতে এই মুহূর্তে দরকার রাশিয়ান ইট। তবেই ব্যবসায়ীরা যুদ্ধে এগিয়ে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।'
অন্যদিকে শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। কিম বলেন, 'এইসব মারামারি দেখলে মাথামুথা খারাপ হয়া যায়। মনে হয় মিসাইল মাইরা এলাকায় শান্তি নামায়া আনি।' নিজের পরবর্তী পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা তিনি নিউমার্কেট এলাকায় করতে চান বলেও জানান।
সংঘর্ষের খবর আলোড়িত করেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকেও। ট্রুডো তার অনলি মি প্রাইভেসির স্টাটাসে বলেন, 'আপনার শান্ত হন। দরকার হয় কানাডায় আসেন। তবুও মারামারি থামান। আমি নিউমার্কেট এলাকায় শান্তির পায়রা ওড়াতে চাই৷'
অন্যদিকে সংঘর্ষের মুষড়ে পড়েছেন বরিস জনসন। মন খারাপ করা এক বিপ্লবী স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, 'ভেবেছিলাম ইদের পর নিউমার্কেট গিয়ে চিরুনী কিনবো। সেটা আর হলো না। আমার অগোছালো চুলের জন্য তোমরা দায়ী থাকবে।'