করোনার কারণে এবার জাপান অলিম্পিক আয়োজিত হচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে অলিম্পিক কমিটি এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধুমাত্র সাঁতারের ইভেন্টটি ঢাকার রাস্তায় আয়োজন করতে চায় তাঁরা!
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়, এত বড় সুইমিং পুল জাপান তো দূরে থাক, পৃথিবীর কোনো দেশেই নেই। কিন্তু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার চিত্র ভিন্ন। পুরো শহরটাই এখন এক সুইমিং পুল। তাই এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাঁতার কাটা সম্ভব। তাই কমিটি এখন ভাবছে, এই সুইমিংপুলে ১ কিলোমিটার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও ১০০ সাঁতারু একসাথে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অলিম্পিক কমিটির এক সদস্য জানান, 'ঢাকার রাস্তায় সাঁতারের আয়োজন করা যায় কি না, সেটা যাচাই করতে আমরা মাইকেল ফেলেপসকে সেখানে পাঠিয়েছিলাম। উনি তখন জানালেন, ঢাকা-চট্টগ্রামে সাঁতরে নাকি আগেই তিনি প্র্যাকটিস সেরে এসেছেন।'
পুরো শহরকে একটা সুইমিংপুলের সাথে তুলনা করে ফেলেপস জানান, 'আগে তো আমি এইখানেই প্র্যাকটিস করতাম। ঢাকার ধানমণ্ডি-মিরপুর আর চট্টগ্রামের বিআরটিসির সামনে কত সাঁতরাইলাম! এইখানে একটু ডিফিকাল্টি লেভেলটা বেশি, ট্র্যাক ক্লিয়ার না। রাস্তায় গাড়িঘোড়া থাকে, ময়লা থাকে। এইখানে অলিম্পিক আয়োজনের আমি পক্ষে, তবে উইনারকে ডাবল গোল্ড দেয়া উচিত, রানারআপকে গোল্ড।'
এদিকে ঢাকা শহরে সাঁতারের এত বড় আয়োজন হতে যাচ্ছে শুনে এক মিরপুরবাসী বলেন, 'অবশেষে এই শহর তার প্রাপ্য সম্মানটুকু পেতে যাচ্ছে শুনে ভালোই লাগছে। যেই সাঁতারের আয়োজন জাপানের টোকিও শহরে হওয়ার কথা ছিলো, সেটা এখন বাংলাদেশের ঢাকা শহরে হচ্ছে। এ থেকেই বুঝা যায়, টোকিওর চাইতে উন্নত শহর হচ্ছে ঢাকা। এই অর্জন পুরো শহরবাসীর। তবে বিশেষকরে মিরপুরবাসীর!'
এদিকে পান্থপথে বসবাসকারী এক ব্যক্তি বলেন, 'ঢাকার রাস্তায় শুধু সাঁতারই নয়, বরং অন্যান্য ইভেন্টেরও আয়োজন করা যেতে পারে। ওয়াটার বাস্কেটবল, বোট রেসিং, এবং চাইলে নতুন ইভেন্ট ফিশিংও চালু করা যায়। আমি আজও ফার্মগেট যাওয়ার সময় প্যান্টের পকেটে দুইটা কই মাছ পাই। শার্টের পকেটে কয়েকটা পুটিমাছও পেয়েছিলাম! বলতে পারেন, একটু পরিকল্পনা করলে পুরো অলিম্পিকটাই এখানে করে ফেলা অসম্ভব না।'
