ঢাকাকে ম্যানগ্রোভ শহর হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের একটি যৌথ কমিটি। আজ ফেসবুকে তাদের একটি ফেক পেজ থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ম্যানগ্রোভ বন বা উপকূলীয় বন হিসেবে পরিচিত ছিল সুন্দরবন। বাংলাদেশের পরিবেশগত সাফল্যের মুকুটে এবার তাই যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন পালক- ম্যানগ্রোভ শহর!
এ বিষয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পরিবেশকর্মী ডেভিড নেচার জানান, 'ফেসবুকে ঢাকার বিভিন্ন ছবি পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, ম্যানগ্রোভ শহরের সব বৈশিষ্ট্যই ঢাকার মধ্যে বিদ্যমান। জলজ পরিবেশের সঙ্গে নাগরিক জীবনের এমন সহাবস্থান আমরা আগে কোথাও দেখিনি। পানির মধ্যে মানুষ হাঁটছে, গাড়ি চলছে। সুন্দরবনের প্রাণিরাও তো জলজ পরিবেশে এত কমফোর্টেবল না। নিশ্চিতভাবেই বলা যেতে পারে, ঢাকাই হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম ম্যানগ্রোভ শহর।'
এ পর্যায়ে তিনি লাইভে এসে হোয়াইটবোর্ডে আঁকিবুঁকি করে ম্যানগ্রোভ শহরের কিছু বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করে জটিল তাত্ত্বিক কথাবার্তা বলেন।
সুন্দরবনের চেয়ে প্রাণিবৈচিত্র্যেও ঢাকা কোনো অংশে কম নয়, এমন অভিমত ব্যক্ত করে তিনি জানান, 'ঢাকায় এক মানুষের মধ্যেই যত বৈচিত্র্য, সুন্দরবনেও এমন প্রাণিবৈচিত্র্য আপনি দেখবেন না। মানে একসময় যদিও ছিল, তবে এখন আর দেখবেন না, নাই তো আর। বলতে পারেন, ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হতে যাওয়া সুন্দরবনের অভাব ঢাকা অনেকটাই ঘুচিয়ে দেবে।'
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে ঢাকা শহরকে এড করা উচিত, এমন মতামত দিয়ে তিনি যোগ করেন, 'আমি তো মনে করি, প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের তালিকায়ও ম্যানগ্রোভ শহর থাকা উচিত। ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ইজ টু মেইনস্ট্রিম।'
সবশেষে ভবিষ্যতের জন্য একটি ভূতাত্ত্বিক ভবিষ্যদ্বাণীও করেন তিনি, 'বুড়িগঙ্গা একদিন ভরাট হয়ে যাবে, ঢাকা হয়ে যাবে নদী। তারপর কোনো একদিন হয়তো ঢাকা নদীর তীরে বুড়িগঙ্গা শহর গড়ে উঠবে। সেই শহরটা হয়তো সঠিক পরিকল্পনায় গড়ে উঠবে, চলুন সবাই সেই অপেক্ষাতেই থাকি।'
তবে ঢাকা এমন স্বীকৃতি পাওয়ায় অভিযোগ জানিয়েছেন কিছু চট্টগ্রামবাসী। পরিবেশওয়ালাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এক চিটাইংগা ফুয়া বলেন, 'একবার চিটাং আসেন। বুঝবেন ম্যানগ্রোভ শহর আসলে পৃথিবীতে একটা না, দুইটা। দুইটাই বাংলাদেশে।'
