[eআরকি একটি স্যাটায়ার ওয়েবসাইট। এখানে প্রকাশিত কোনো খবর বিশ্বাস তো দূরের কথা, অবিশ্বাসও করবেন না!]
গত দুইদিন ধরে গাজীপুরের টঙ্গীর বাসিন্দারা রোগীদের নিয়ে ছুটে চলছেন স্থানীয় সব কমিউনিটি সেন্টারে। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে টঙ্গীতে রোগী ও আহত মানুষদের গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে কমিউনিটি সেন্টারগুলো। চাঞ্চল্যকর এই খবর পেয়ে eআরকি প্রতিনিধি দল টঙ্গীতে ছুটে গেলে আবিষ্কার করে এক অভূতপূর্ব ঘটনা।
গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় হাসপাতালের বাবুর্চি আলী আজগরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। এর আগের দিন হাসপাতালেই হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। শত শত রোগী থাকলেও বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই হাসপাতালের একটি ভবনের ৩ তলায় উচ্চশব্দে গান-বাজনা চলতে থাকে। এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কমর উদ্দিন বলেন, ‘বাবুর্চি আলী আজগর হাসপাতালের একজন স্টাফ। মানবিক কারণে তার মেয়ের বিয়ের আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়।’ খবর: বাংলা ট্রিবিউন।
eআরকি প্রতিনিধি দল টঙ্গীতে গিয়ে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি আবিষ্কার করে। হাসপাতালে হাসপাতালে চলছে বিয়ে, গায়ে হলুদ, জন্মদিন, সুন্নতে খতনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বাদ্য-বাজনায় মুখরিত একেকটি হাসপাতাল কম্পাউন্ড। আর অন্যদিকে একেবারেই বিপরীত চিত্র কমিউনিটি সেন্টারগুলোয়। একের পর এক বিয়ের সাজে সাজানো গাড়ি ছুটে আসছে। কথা বলে জানা গেল এগুলোই এখন অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও ডাক্তার দেখাতে সাধারণ রোগীরাও আসছেন।
এমনই এক কমিউনিটি সেন্টারের তত্ত্বাবধায়কের সাথে কথা বলে জানা গেল, তারা ডেঙ্গুর এই মৌসুমে কমিউনিটি সেন্টারে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও করেছেন। eআরকিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের এইখানে গায়ে হলুদের প্রোগ্রাম যেখানে হইত, সেইখানে আমরা ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ওয়ার্ড খুলছি। রিসেপশন রুমে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড খুলছি।’
কথা হলো কমিউনিটি সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন সাধারণ রোগীর সাথে। চিকিৎসা সেবা নিয়ে তারা মোটামুটি সন্তুষ্ট। এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘এইখানের খাবার দাবার ভালোই। কিন্তু রোস্টের ভালো পিসটা পাই নাই কখনোই! আর রেজালায় হাড্ডি আর তেল বেশি দেয়। রোগীদের কি অত তেল খাওয়া উচিত! তবে এইখানে বোরহানিটা মজার।’ এক রোগী eআরকিকে জানান, ‘অ্যাম্বুলেন্সে করে যখন আমাকে নিয়ে আসল, গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখি কী সুন্দর লাইটিং করে রাখছে। সেইটা দেখেই তো আমার শরীর অর্ধেক ভালো হয়ে গেল।’
একাধিক অবিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে যে, টঙ্গীর বাসিন্দারা এখন স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে জায়গা না পেয়ে আবদুল্লাহপুর, উত্তরা এমনকি মহাখালীর কমিউনিটি সেন্টারগুলোতেও রোগী নিয়ে আসছেন। এসব কমিউনিটি সেন্টারেও এখন কর্তৃপক্ষ রোগীর চাপ সামলাতে হিমিশিম খেয়ে যাচ্ছেন।