সোমবার ৭ জানুয়ারি সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জনগণের প্রবল আন্দোলনের খরস্রোত ধেয়ে আসছে’ (কালের কন্ঠ)।
চাঞ্চল্যকর এই খবরটি প্রকাশিত হবার সাথে সাথেই দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সাড়া পড়ে যায়। দুর্যোগ মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে দেশে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার কথা ভাবছে বলে জানা যায়। তবে এই খরস্রোত সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। ‘প্লিজ প্লিজ আমার নামটা প্রকাশ কইরেন’ এমন শর্তে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ‘রামপাল এবং রূপপুরের পর নতুন এই খরস্রোত আসলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে খুলে যাবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। এক কাপ্তাই আর কতদিন ব্যাকাপ দেবে, বলেন? আমাদের জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নতুন কোনো স্রোতস্বিনীর প্রয়োজন ছিল। আন্দোলনের এই তীব্র খরস্রোতের যথাযথ স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হলে উৎপাদন করা যেতে পারে লক্ষ লক্ষ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।’
নির্বাচনে এমন নিরঙ্কুশ পরাজয়ের পরেও বিএনপি এভাবে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার পদক্ষেপ নেয়ায় তাদেরকে আন্তরিক সাধুবাদ জানান এই কর্মকর্তা। তবে এই খরস্রোত থেকে ঠিক কী পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আন্দোলনের তীব্রতার উপর ডিপেন্ড করছে। এখন বিএনপির যা অবস্থা তেমনই আন্দোলন হলে ফোন চার্জ দেয়ার মতো বিদ্যুতও পাওয়া যাবে কিনা বলা কঠিন।’
এছাড়াও এই সংবাদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক অফিসার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি এরকমটা হয়, তাহলে তা আমাদের পর্যটনশিল্পের জন্যে ইতিবাচক হবে। ট্যুরিস্টদের সার্ফিংয়ের জন্য কষ্ট করে কক্সবাজার যেতে হবে না। টাইড ভালো হলে এখানেই সম্ভব হবে। তরুণরা আন্দোলনের জোয়ারে ভেসে অংশ নিতে পারবে সার্ফিং কম্পিটিশনে।’
গ্রামবাংলার ঘরে ঘরেও এই সংবাদের ভিত্তিতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে নৌকা বাইচ খেলার। এই খরস্রোতা জোয়ারে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচের আয়োজন করে দেশীয় সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখায় দেশের মানুষ ধন্যবাদ জানাচ্ছে বিএনপিকে।