তিনমাসের মতো হয়ে গেল দেশে-বিদেশে সব জায়গাতেই গর্তে পলাতক রয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রথম কয়েকদিন আপার সাথে ফোনে যোগাযোগ হলেও এখন সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে চাটাচাটি, তেলবাজি এবং আপা না ডাকার ফলে তাদের জিহ্বায় মরিচা পড়তে শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন ছাত্রলীগের গর্তবাসী বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা।
এমন অবস্থায় তারা নিজেদের শেষ ভরসা হিসেবে মানছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে। তেলশিল্পের নিয়মিত চর্চার অংশ হিসেবে আপাতত কমলাকে আপা বলে ডাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগ এর দাবি জানিয়ে নিউইয়র্কের কুইন্সে ভোরবেলায় ঝটিকা মিছিলও করেছেন বলে জানা যায়।
নিজের ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের এক নেতা ডেমোক্রেট কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের ভুলে যাইয়েন না মনে রাইখেন। একসময় রাজপথ কাঁপালেও এখন নিজেরা কাঁপাকাঁপির মধ্যে দিন পার করছি তবে তেলশিল্প ভুলি নাই। আমাদের আপা তো এখন দিল্লীর লাড্ডু খাওয়ায় ব্যস্ত, উনি চট করে ঢোকার আগে পর্যন্ত তোমার আপাকে একটু আপা বলে ডাকি? প্লিজ? প্রয়োজন হলে আমাদের কমলা আপার ভোট বাড়ানোর জন্য পুরো আম্রিকার সকল কবর খুড়ে ফেলব, রাতে ভোট করাব। তবুও আমাদের একটু আপা আপা বলে ডাকতে দিন।
ছাত্রলীগের দাবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর অবশ্য তাদের খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্রে চিরুনি এবং ক্ষুর হাতে নিয়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে, শিবির এবং ছাত্রদলের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতা কর্মীরা। #শখের তো কমতি নাই হ্যাশট্যাগ দিয়ে এক শিবির কর্মী নিজের ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটে লিখেছেন, এখনও সময় আছে এসব ভুগিচুগি বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সকল ছাত্রলীগ নেতা কর্মী জার জার ওবস্তান থেকে পালাও।