বড় লেখক/কবিরা নাকি ভবিষ্যৎ দেখতে পান, আর সেই আলোকে সাহিত্য রচনা করেন। এখানে সেইরকম কিছু স্যাম্পল দেয়া হলো, যেগুলো থেকে করোনাকাল সম্পর্কে তারা যে আগেই জানতেন সেরকম ধারণা পাওয়া যায়।
১#
গোল করোনা, গোল করোনা
ছোটন ঘুমায় খাটে।
এই ঘুমকে কিনতে হলো
নওয়াব বাড়ির হাটে।
-সুফিয়া কামাল (ভাইরাস পরিচিতি)
২#
থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখবো আবার জগৎটাকে
কেমন করে ঘুরছে মানুষ, যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে
-কাজী নজরুল ইসলাম (হোম কোয়ারেন্টাইনের কথা ভেবে)
৩#
দূরত্ব জানে, একদিন খুব বেশি নিকটে ছিলাম...
-রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (সোশ্যাল ডিসট্যান্সের প্রতি ইঙ্গিত করে)
৪#
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই
দুইকে আমি এক করি না, এককে করি দুই
-নির্মলেন্দু গুণ (করোনার ছোঁয়াচে বৈশিষ্ট্য বোঝাতে)
৫#
কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গেছে, কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (লক ডাউনের মধ্যেই অনেকের বিয়ে শাদি করার প্রবণতা বোঝাতে)
৬#
রূপবতী নারীদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে নেই। প্রত্যাখ্যান করলে অভিশাপ লাগে।
-হুমায়ূন আহমেদ (গৃহবন্দীর দিনে মেয়েদের কাছ থেকে অনলাইনে লুডু খেলার ইনভাইটেশন পাওয়ার ব্যাপারে)
এইটা ফাও
যে জাতি ভাড়াটিয়াদের ছাদে যেতে দেয় না, সেই জাতি কীভাবে চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখবে!
-মিকসেতু মিঠু (লক ডাউনের দিনে ছাদ খুলে না দিলে মানুষ যে অকারণেই বাজারে আড্ডা দিতে যাবে সেটা বোঝাতে)