আটাশ বছর অপেক্ষা করে আমাকে পেয়েছ তোমরা
কোথায় তোমরা ফূর্তি করবে! মুখ চোখ দেখি গোমড়া!
জেতাদের পিছে লেগে থাকবেই যাবতীয় হারু পার্টি
আমাকে বলছ পদ ছেড়ে দিতে? তোমাদের মন ডার্টি।
আমাকে দিচ্ছে পচা উপদেশ সেমন্তী আর নন্দী!
ভাবছ বুঝি না! এসব কিছু না, পদটা খাওয়ার ফন্দি।
ভিপি পদ আমি ছাড়ব নাকি রে! লাভ নাই কূটতর্কে
এই পদ পেতে পুড়িয়েছি আমি শত মণ কাঠখড়কে।
বললে বলবে নুরুল ভালো না, একেবারে কাঠখোট্টা
আমি না দাঁড়ালে উপায় কী ছিল? কাকে দিতে ভিপি ভোটটা?
তোমরা কিছু না, কোটা ছিল বলে, ভিপি হয়ে গেছি কোটাতে
দোহাই বলছি এসো না, এসো না কথার তুবড়ি ফোটাতে।
এমনি শোভন বুকে টেনে নেয়? অশোভন এই রাজ্যে!
নিরবে নিরবে শেষ করিয়াছি কত এডভান্স কাজ যে!
রাজনীতি ব্লেন্ড করে দিয়ে আমি আপাকে ডেকেছি ‘আম্মা’
বুঝিয়ে দিয়েছি ছাত্রলীগরে আমি কি জিনিস, মাম্মা!
এতদূর আমি এসেছি ভেবেছ ঘাস লতা পাতা খাইয়া?
হু হু জেনে রেখো রাতের আঁধারে ফুয়েল দিচ্ছে ‘ভাইয়া’।
আমাকে সাপোর্ট দিয়েই রেখেছে শিবির এবং জামাতে।
আমাকে থামানো এত সোজা নয়, পারবে আমাকে থামাতে?
ইতিহাস থেকে আমাকে মুছবে? নেই কারো সেই সাধ্য
নুরুলের নামে জয়গান কর, বাজাও খুশির বাদ্য।
গান বেঁধে ফেলো আমাকে লইয়া, স্তুতি লিখে যাও কাব্যে
আটাশ বছরে বাপের জন্মে আমাকে পেয়েছ, ভাববে।
জেনো সাধারণ ছাত্রছাত্রী! আমি বাপু সাধারণ না
আমাকে পিটাতে এসো না, এসো না রোকেয়া হলের কন্যা।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন