নেত্রী যদি দাঁড়াও বলেন, বলেন যদি বসো; বলেন যদি— আমার পায়ে নাকের ডগা ঘষো; বসব তখন, ঘষব তখন আপন নাকের আগা; নেত্রী যদি বলেন তখন— কল্লা এবার জাগা; বলব তখন লাজুক স্বরে— নেত্রী, বলেন কী যে; কল্লা আমি তুলব তখন, চরণ গেলে ভিজে। কবুল করেন আপনি আমায়, করেন যদি বরণ; যাবজ্জীবন চেটেই যাব এমন করে চরণ। চাটব চরণ, রাখব স্মরণ— নেত্রী আমার দেবী; নেত্রী হলেন মাজার শরিফ, আমরা নিছক সেবী। সবার আগে ভাঙব আমি আপন পিঠের হাড়; নেত্রী যদি চাহেন, হব পূর্ণকালীন ভাঁড়। হাঁটব না আর পায়ের ওপর, চলব বুকের ভরে; যেমন করে চলছে ইঁদুর, আবার যেমন মরে। দুগ্ধপোষা বাচ্চা যেমন গড়ায় ঘরের খাটে, হাড়ের দেখা পেলেই যেমন ডগের ছানা চাটে; চাটব তেমন, হাঁটব তেমন, যেমন হাঁটে কেঁচো; নেত্রী যদি বলেন শুধু— হাজার বছর বেঁচো। রাজার মতোন বাঁচব, আহা, নেত্রীপূজায় নেচে; অর্ধপোয়া মগজ দিলাম জলের দামে বেচে। যাহাই ছিল, নেত্রী আমার, উজাড় করেই দিসি; নেত্রী যত তোলেন ছবি, ভর্তি আমার পিসি; জ্বলুক লোকে, বলুক লোকে ইচ্ছেমতো ছি-ছি; বাড়ান যদি চরণযুগল, দিলাম করে কিসি; একটু এবার রহম করুন, বানান আমায় ভিসি!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন