দেশের বিভিন্ন যায়গায় কারেন্ট ছাড়াই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখা যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে কারণে বিশ্বব্যাপী যে জ্বালানী সংকট চলছে তার প্রভাবে শতভাগ বিদ্যুতের দেশে নেমে এসেছে লোডশেডিং। এই লোডশেডিং-এর মধ্যে কীভাবে দেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা তাদের প্রিয় দলের খেলা দেখছেন তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে এইসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিষয়ক সংসদীয় কমিটির একাধিক সদস্য। তারা বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, ‘সমর্থকরা টিভির সামনে গেলে অটোমেটিক টিভি চালু হয়ে যাচ্ছে। তাদের বাসা বাড়িতে লোডশেডিং-এর কোনো প্রভাবই পড়ছে না। বিষয়টা অদ্ভুত। ‘
সত্যতা স্বীকার করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব। তিনি বলেন, ‘আমরাও খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।‘
সরেজমিনে খোঁজ নিয়েও ঘটনার সত্যতা মিলছে। সিলেটের সালাউদ্দিনের বাসায় গত রাত থেকে কারেন্ট নেই। কিন্তু বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডের খেলা দেখার জন্য তিনি তাঁর হৃদয় হাহাকার করছিলো। বিষণ্ন হৃদয় নিয়ে তিনি টিভির সামনে যাওয়ামাত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিভিটি চালু হয়ে যায়।‘
শুধু তা-ই নয়, ফ্যানের কাছে যাওয়ামাত্র তার ফ্যানটিও চালু হয়ে যায় এবং একটু পরে তার লাইটটিও জ্বলে উঠে।
একই ঘটনা ঘটেছে পঞ্চগড়ের পলাশের বাড়িতেও। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই একনিষ্ঠ সমর্থক হেটেহেটে যেখানেই যাচ্ছেন সে যায়গাই আলোকিত হয়ে যাচ্ছে, ফ্যান চলছে, এসি চালু হচ্ছে। এই আজব ঘটনা তিনি ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছিলো ‘আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাগলা সমর্থক’ গ্রুপের এডমিনের সাথে। তিনি বলেন, ‘বেশি কিছু বলবো না। শুধু একটা কথাই বলতে চাই–আমাদের শরীরে অনেক কারেন্ট।‘
এদিকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে এইসব পাগলা সমর্থকদের রাষ্ট্রীয় কাজে লাগানোর কথা ভাবছে সরকার। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের এক সচিব বলেন, ‘কয়েকটা সমর্থককে ধরে ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিডে যুক্ত করবো বলে ভাবছি। এদের কারেন্টে দেশের লোডশেডিং কমবে বলে আমরা আশাবাদী।‘