বাংলাদেশের মানুষ আমরা, ভৌগলিকভাবেই আমরা ধরে রাখতে, ধরে থাকতে পছন্দ করি। আমরা প্যান্ট পুরোনো হয়ে গেলে পাপোশ বানাই, টিশার্ট দিয়ে মুছি ঘর। কিন্তু ফেলে দেই না। এই ছোট প্র্যাক্টিসগুলা আমাদের মাথায় গেঁড়ে বসে আছে, পারি আর না পারি পদ ধরে রাখাটাই আসল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, কোচিং স্টাফ ব্যর্থ হয়ে আসছে বছরের পর বছর। খেলোয়াড় তৈরি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন সবকিছুইতেই ব্যর্থ তারা৷ এত ব্যর্থতার পরও বিসিবির কর্মকর্তারা যুগের পর যুগ নিজেদের পদ ধরে রেখেছেন সফলভাবে৷
বিশ্ববাসীর কাছে এটা যুগান্তকারী ঘটনা, কারণ সারা বিশ্বে কোনো বোর্ড মেম্বার বা কোচিং স্টাফস এক সিজন ব্যর্থ হলে তাকে স্যাক করা হয় বা বদল করে অন্যদের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এখানে একবার ঢুকলে মরার আগে বের হওয়া নাই।
আর এই কারণেই বাংলাদেশে আসছেন প্রথিতযশা স্পোর্টস ক্লাবের কোচ ও বোর্ড মেম্বাররা। তারা শিখতে চান কীভাবে এত বছর পদে থাকা যায়।
ভূয়া সূত্রে শোনা যায়, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিও এসেছেন বিসিবির কাছে৷ এয়ারপোর্ট থেকে এয়ার টিকেটের ছবি আপলোড করে তিনি লেখেন, 'ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে ক্লান্ত। এনালাইসি, প্লেয়ার গ্রুমিং, বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা, পাইপ লাইন নিয়ে ভাবনা, এতো ভাবনা আর ভাল্লাগে না। বাংলাদেশে যাচ্ছি, ব্যর্থ হয়েও পদ ধরে রাখার কৌশল শিখতে পারলে আর এতকিছু নিয়ে ভাবনার দরকার নেই। তখন শুধু ফোন কানে নিয়ে স্টেডিয়ামে বসে থাকবো ও সংবাদ মিডিয়ার কাছে গিয়ে ক্রেডিট নিবো।'
ক্রিকেট গণ্ডি পেরিয়ে বিসিবির সাফল্য পৌঁছে গেছে ফুটবলেও। সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হওয়া বার্সেলোনার কোচ রোনাল্ড কোম্যান তার ফেইক ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলেন 'স্যাক করার আগে একবার বিসিবিতে গিয়ে আপন ভাই আর পান্নু ভাইয়ের সাথে দেখা করতে পারলে হয়তো চাকরীটা বাঁচতো। খুব লস হয়ে গেসে।'