ডিপজলের একনিষ্ঠ ভক্ত গনি মিয়া তার পাটক্ষেতকে পর্যটন স্পটে পরিণত করার কথা ভাবছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ। 'আয় যাবি পাটক্ষেতে' ব্যানার বানানো থেকে শুরু করে টয়লেটে টয়লেটে ছোট পোস্টারও লাগিয়েছিলেন। টিকিট কেটে মানুষ ঢুকবে পাটক্ষেতে, সোনালী আঁশের সাথে মানুষ পরিচিত হবে কচি কাল থেকেই, পাটশিল্পে আবারও ফিরে আসবে সোনালী দিন৷
কিন্তু তার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে কিছু লোক। তাদের দাবি, বাংলাদেশে পাট চাষ বন্ধ না করা গেলে পাট ক্ষেতের অশ্লীলতা থেকে সমাজকে মুক্ত করা যাবে না।
তাদের মধ্যে একজন ডিজে রুবেল (যার লিঙকড ইন প্রোফাইলে এক্সট্রাকারিকুলার এক্টিভিটিজ হিসেবে 'কাশবন পুড়িয়ে অশ্লীলতা বন্ধ করা' লেখা) আমাদের সঙবাদ সঙগ্রাহককে জানান, 'পাটক্ষেত শব্দটা দশবার উচ্চারণ করলেই চারপাশ অশ্লীলতায় ভইরা যায়, সেখানে বাংলাদেশে কত একর একর জমিতে পাট চাষ হয়। এইসব বন্ধ করা লাগবো, পাট ও থাকবো না অশ্লীলতাও থাকবো না।'
এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝবয়সী চাচা বলেন, 'গেরামে অত হোটেল ফোটেল নাই, আছে পাটক্ষেত। আর এইখানেই শয়তানের বাসা। পাট চাষ বন্ধ কইরা বলতে পারেন, অশ্লীলতার পাট চুকানোর সময় আইসা গেছে!'
গুঞ্জন শোনা যায়, অশ্লীলতা কমিয়ে নম্র ভদ্র দেশ গঠনের লক্ষ্যে অচিরেই তারা নিজেদের পকেটের দেশলাই খরচ করে হলেও পাট, ভুট্টা প্রভৃতি ক্ষেতে আগুন দিতে পারেন৷