ব্যাংক ডাকাতিকে কেন্দ্র করে (মানে টাকা পয়সার কাবজাব আর কি) নির্মিত নেটফ্লিক্সের স্প্যানিশ সিরিজ মানি হাইস্ট। অন্যান্য সিজনের মত সিরিজটির চলমান সিজনও বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যদিও সিরিজটির সাথে বাস্তবতার মিল নিয়ে কিছু সমালোচনা রয়েছে৷ তবে এই সমালোচনা কাটিয়ে ওঠার লক্ষে নতুন এক ঘোষণা এসেছে নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে। জানা যায়, মানি হাইস্টের সিজন ফাইভের সেকেন্ড পার্ট মানে ফিনালেতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে নেয়া হতে পারে ইভ্যালির সিইও রাসেলকে৷
একটি ফেইক টুইটের মাধ্যমে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সিরিজ ফিনালের নাম 'লা কাসা দে পাপেল' থেকে বদলে 'লা টাকা দে রাসেল' করে ফেলার সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়।
নেটফ্লিক্সের একজন জানান, 'অর্থ আত্মসাতের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে রাসেল ভাইয়ের মত ট্রেন্ডিং ক্যারেক্টার খুব একটা নেই। এর আগে ডেস্টিনি ছিল সত্যি, কিন্তু রাসেল বর্তমান প্রজন্মের আইডল। তাই আমরা ঠিক করেছি, কেন্দ্রীয় চরিত্র দিয়েই রাসেলকে আমরা মানুষের সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।'
রাসেলের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেন তারা৷ বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞায় মানি হাইস্টের প্রফেসরকে ছাড়িয়ে যাবেন বলেও অনেকের ধারণা৷ নেটফ্লিক্সের এক কর্মকর্তা নিজের ফেক আইডি থেকে বলেন, 'সাধারণ মানুষকে যেভাবে রাসেক নিজের ছায়াতলে নিয়ে এসেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়৷ এর আগে পৃথিবীর কোথাও এত লোককে একসাথে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারতে এত সহজে কনভিন্স করা যায়নি। শুধু কি সাধারণ মানুষ! লোকমুখে শুনেছি রাসেলের চতুরতার ও বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশের মোটিভেশনাল স্পিকার থেকে শুরু করে সোস্যাল ইনফ্লুয়েন্সার, জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী সবাই রাসেলের ছায়াতলে এসে স্বেচ্ছায় মারা খেয়েছে৷ এমন চরিত্র তো রূপকথায় পাওয়া সম্ভব।'
রাসেলকে মুক্ত করতে ইতোমধ্যে প্রিজন ভ্যান নিয়ে মানি হাইস্টের প্রফেসরকে পাঠিয়ে দিয়েছে বলেও জানা গেছে৷ অন্য এক অবিশ্বস্ত গোপন সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রফেসর গুলশান থানার বাইরে নিজের ভ্যান থামিয়ে গুলশান থানার অফিসারের সাথে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে নিয়েছে। দ্রুতই রাসেলকে মুক্ত করে শুটিং শুরু হবে বলেও জানা যায়৷