কিছুদিন আগেই মামুনুলের একাধিক মানবিক বিয়ের খবর মিডিয়াতে আসে। এর আগে বন্ধু-বান্ধবরা জানলেও মামুনুলের প্রথম স্ত্রী এই ধরণের মানবিক বিয়ের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। রয়েল রিসোর্টের ঘটনার পর বাসায় গিয়ে প্রথম স্ত্রীকে সাক্ষাতে মানবিক বিয়ের বিষয়টি বোঝানোর পরিকল্পনা ছিলো তার। স্ত্রীও বলেছিলেন, 'আগে বাসায় আসেন'! কিন্তু আজ ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার হওয়ার কারণে পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছে মামুনুলের একটি ভ্যারিফায়েড ফেক একাউন্ট।
একাউন্টটির সাথে কথা বললে শুরুতেই এমন গ্রেফতারের জন্য নিন্দা প্রকাশ করা হয়। এরপর একাউন্টটি আমাদেরকে জানায়, 'একজন লোক তার সংসারিক বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা করছিলো। মানবিক বিয়ের বিষয়টি স্ত্রীকে বোঝানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এমন সময়ে তাকে গ্রেফতার করা অত্যন্ত অমানবিক একটি কাজ হয়েছে। এটা একজন মানুষের সংসারের উপর আঘাত। মামুনুল ভক্তরা কখনোই এমন আঘাত বরদাস্ত করবে না।'
প্রথম স্ত্রীকে মানবিক বিয়ের বিষয়টি বোঝাতে না পারায় শুধু মামুনুল না, ক্ষতি হয়েছে পুরো একটি কমিউনিটির। এমনটা দাবি করে ফেক একাউন্টটি থেকে বলা হয়, 'দেশে অনেক মানবিক বিয়ে ভক্ত আছে। মানবিক বিয়ে করলেও সঠিক যুক্তির অভাবে অনেকেই নিজেদের প্রথম স্ত্রীকে বিষয়টি জানাতে পারছে না। এমতাবস্থায় মামুনুল একটা দিশা নিয়ে হাজির হওয়ার পথে ছিলো। আমরা সবাই এই জ্ঞানী মানুষটির দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। তিনি ভাবিকে কীভাবে বোঝান তা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলাম। এরপর সেখান থেকে রসদ নিয়ে আমরাও নিজেদের প্রথম স্ত্রীর কাছে মানবিক বিয়ের খবর নিয়ে হাজির হতাম। রাষ্ট্রের এমন গর্হিত কাজ মানবিক বিয়ের সংস্কৃতিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। মানবিক বিয়ের প্রসারে এমন বাধা ইতিহাসে অমানবিক অক্ষরে লেখা থাকবে।'
মানবিক বিয়ের পক্ষে স্ত্রীকে দেয়ার জন্য যথেষ্ট যুক্তির অভাবে ঘরে ফিরছে না হাজারো স্বামী। এখানে সেখানে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলেও জানা যায় ফেক একাউন্টটি থেকে।
অমানবিকভাবে গ্রেফতার করলেও মানবিক দিক বিবেচনায় মামুনুল হককে ৫০১ নাম্বার সেলে রাখার অনুরোধ জানিয়েছে ভক্তরা। পাশাপাশি জেলখানায় আটককৃত অন্যান্য কর্মীরা মামুনুলের কাছ থেকে গল্প শোনার জন্য ও জীবনমুখী শিক্ষা নেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে আছে বলে জানা যায়।