ঘটনাটা ঘটেছে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায়। আলমগীর নামের এক ব্যাক্তি ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের ডাই হার্ট ফ্যান। প্রতিটি সিজনের প্রতিটি পর্বই তিনি জাস্ট নাউতে দেখতেন। সিজন শেষ হওয়া মাত্র পরের সিজন আসার আগ পর্যন্ত রিপিট করে দেখতে থাকতেন। প্রিয় এই সিরিজটির শেষ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। এই ঘটনা তার জীবনের গতরপথে একটা বিরাট পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। খবর পাওয়ার দিন এক দিস্তা কর্ণফুলি কাগজে একটানা 'ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ফোর চাই' লিখে ভরিয়ে ফেলেছেন। এরপরেও যেন তার শোক শেষ হচ্ছিলো না।
সিরিজটি শেষ হওয়ার দুঃখ সামলাতে না পেরে তাই ব্যাচেলর অবস্থাটাই ত্যাগ করলেন এই চরম ভক্ত। সিরিজ ফিনালের দিনই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান 'কী না করছি এই নাটক দেখতে? ফোরজি স্পিড পাইতে আম গাছের মগডালে উইঠা নাটক দেখছি। আমার যে ফেসবুক পেজ ডিজে কাবিলা আলমগীর, সেখানে সব ভিডিও ব্যাচেলর পয়েন্টের। আইডিবিএম রেটিং ৩.৮ কি এমনেই উঠছে এই নাটকের? আমরা বোচাগঞ্জের ব্যাচেলর পয়েন্টের পাগলা ফ্যান গ্রুপ আমগাছের মগডালে বইসা বইসা রেটিং এত উপরে উঠাইছি। অমি ভাই আমাদের ইমোশন নিয়ে এভাবে খেলবে জানলে এত ভালোবাসতাম না। এই দুঃখ শোক থেকেই আমার এই বিয়ের সিদ্ধান্ত। ব্যাচেলর পয়েন্ট নাই, আমি ব্যাচেলর থাইকা কী করুম।'
এরপর তিনি আমাদের সংবাদ সংগ্রাহক কে একটু সাইডে নিয়ে বলেন 'এই দাদো শোনেন.. আমি এই নাটকের এত বড় ভক্ত যে যারে বিয়া করছি বিয়ার আগেই তার নাম আকিকা দিয়া রোকেয়া রাখছি।'
এরপরে তিনি মারজুক রাসেলের মত 'এ এ এ এ এ' এই বলে তার স্ত্রীকে ডাকেন। তার স্ত্রী আমাদের জানান 'আমি প্রথমে পাগল মনে করলেও আসলে মানুষটা খুব ভালো, ধন্যবাদ ব্যাচেলর পয়েন্টকে, শেষ না হইলে তো আমি এত ভালো একজন কাবিলারে পাইতাম না'