রং চা, দুধ চা, আদা চা, এলাচ চা, মরিচ চা ইত্যাদির পর আবিষ্কৃত হয়েছে চায়ের নতুন রেসিপি। নতুন এই চায়ের নাম রাখা হয়েছে, 'ভোট চা'। সম্প্রতি ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম এই চায়ের উদ্ভাবন করে চা রসিকদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন। দলে দলে মানুষ ঢাকা উত্তরে ভিড় করছেন একবারের জন্য হলেও ভোট চায়ের স্বাদ নেয়ার জন্য।
মূলত ভোট পাওয়ার আগ্রহকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া এই চা'কেই ভোট চা হিসাবে ডাকা হচ্ছে বলে চা বিশারদগণ মতামত দিয়েছেন৷ ভোটের পরে এই চায়ের অস্তিত্ব পরবর্তী ভোট আসার আগে পর্যন্ত বিলুপ্ত থাকবে বলেও নিশ্চিত করেন তারা।
দিনাজপুরের শামিম রাতের ট্রেনে ঢাকা এসেছেন। তিনি জানান, চা না হলে একটা দিনও চলে না তার। আদা চা, মরিচ চা, সাত রঙের চা থেকে শুরু করে বহু চা খেয়েছেন জীবনে। তাই ভোট চায়ের কথা শুনে ঘরে বসে থাকতে পারেননি। ছুটে এসেছেন ঢাকাতে। ইচ্ছা, একটাবারের জন্য হলেও আতিকুল ইসলামের হাতের ভোট চা খেয়ে দেখা।
অন্যান্য চা থেকে ভোট চায়ের স্বাদ ও ঘ্রাণ একটু ব্যতিক্রম বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরপুরের জনৈক চা-প্রেমী। তিনি বলেন, 'এই চা খাওয়ার পর নিজের মধ্যে অদ্ভুত অদ্ভুত ও অসম্ভব ইচ্ছা জাগে। যেমন মনে হয়, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসি।'
এইধরনের ইচ্ছা সৃষ্টি হওয়া অবিশ্বাস্য হলেও খুব একটা ক্ষতিকর না বলে জানিয়েছেন সাইকিয়াট্রিস্টগণ।
এই ভোট চা বাংলাদেশে এবারই প্রথম হলেও ভারতে এর অস্তিত্ব আছে বলে জানতে পারা যায়। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এইধরনের চায়ের মাধ্যমে ইতোপূর্বে আলোচনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মেয়র আতিকুল ইসলাম নরেন্দ্র মোদি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ভোট চা তৈরি করেছেন এমনটাও দাবি অনেকের। তবে নরেন্দ্র মোদি এই চায়ের মাধ্যমে নির্বাচনে জিততে পারলেও আতিকুল ইসলাম পারবেন কিনা সেটা সময়ই বলে দিবে (আসলে তিনি জিতবেন এটা আমরা জানি। সময়ই বলে দিবে এটা কথার কথা হিসাবে বলা)।
এ বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদেরকে সময় দিতে পারেননি। সে সময় তাকে চা তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। তবে তবুও এক ফাঁকে দু সেকেন্ড সময় বের করে তিনি অত্যন্ত অমায়িক ভঙ্গীতে জানতে চান, 'মামা কোন চা দেবো? দুধ চা, রং চা না ভোট চা?'