গত ১৪ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন সাবেক স্বৈরশাসক ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার মৃত্যুর আগে থেকেই জাতীয় পার্টির পরবর্তী চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে দ্বিধা কাজ করছিল দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে। আজ (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এক অংশ রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করে। এরশাদের মৃত্যুর পর থেকে দলের অন্য একটি অংশের সমর্থন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তার ছোট ভাই জি এম কাদের। ফলে বর্তমানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান দুজন। খবর: বিবিসি বাংলা।
একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হবার জন্য কেন এসব গুণ থাকতে হবে, তা জানতে চাইলে এই নেতা কোন উত্তর দেননি। তবে জাপার এক সমর্থক eআরকিকে বলেন, ‘ক্যান্ডিড তুলতে না জানলে এখন ভালো নেতা হওয়া যায় না। আর আমাদের পল্লীবন্ধু ছবি তোলায় ছিলেন খুব পারদর্শী। এছাড়া শরীর শক্ত সামর্থ্য না হইলে তো ঝড়-বন্যায় সরাসরি ঘটনাস্থলে গিয়ে ফুটেজ নেওয়া যাবে না। আর বুঝেনই তো… ঐ ইয়ে...’ এটুকু বলেই সলজ্জ হাসি হেসে তিনি স্থানত্যাগ করেন।
‘কে হবে জাপা চেয়ারম্যান’-এর প্রক্রিয়া কী হবে, তা জানতে চাইলে তেমন কোন সদুত্তর দিতে পারেননি দলটির নেতাকর্মীরা। তবে অফ দ্য রেকর্ডে কেউ কেউ বলেছেন, মাসুদ রানার মতই জাপা চেয়ারম্যানও খোঁজা হবে একটু ‘রাফ এন্ড টাফ’ পদ্ধতিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, ‘সব দল আর সরকারের বঞ্চনা-গঞ্জনা সয়েই তো পল্লীবন্ধু দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন। তাই রিয়েলিটি শো হতে হবে এমন, যার মধ্য দিয়ে এমন একজন উঠে আসবেন যিনি কিনা কোনকিছুই গায়ে লাগাবেন না।’ এছাড়াও জানা যায়, অডিশনে ডিগবাজি, দড়ি টানাটানি খেলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে জাপা সমর্থকদের একাংশ।