বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন উত্তেজনা! বিপিএলের থিম সং লিখে সারা দেশে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ইউসুফ সরকারকে এবার এসাইনমেন্ট লেখানোর দাবি তুলেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। নিজেদের ব্যস্ত জীবনে একটু স্বস্তির জন্য এসাইনমেন্টের মত তুচ্ছ বিষয় সরকারের উপর ই ছেড়ে দিতে চান তারা।
ইউসুফ সরকারের প্রতিভার কথা কে না জানে! বিপিএলের থিম সংয়ে তার লেখা গান শোনার পর, বুয়েটের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের ছাত্র উইড খানের মনে হয়েছে, তার এসাইনমেন্টের পাহাড়ও ইউসুফ সরকার সামলাতে পারবেন। ইউসুফ সরকার কেনো আগে আসলো না, তাহলে তো ফার্স্ট ইয়ার থেকেই সিজি ৪ এ ৪ থাকতো তার।
উইড খান সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, আমি জানি ইউসুফ সরকার চাইলে যেকোনো কিছু করতে পারেন। আমার পেন্ডিং এসাইনমেন্টগুলো তার জন্য কোনো ব্যাপারই না। প্রতি ওয়ার্ডে ৪০ পয়সা দেব। টাকা নিয়ে কোনো ঝামেলা হবে না।
এই পোস্ট ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উইড খানের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে তাদের এসাইনমেন্ট লেখার দাবিও তুলেছেন। একাধিক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছেন, ইউসুফ সরকার থাকতে আমরা কেন এসাইনমেন্ট লিখব? বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে সবার কাছে শুনতাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু চিল আর চিল । অথচ এখন তো দেখছি, এসাইনমেন্টের বোঝায় আমাদের জীবন শেষ। আমরা আর লিখব না! সব লিখবেন ইউসুফ সরকার।
এই অঘোষিত বিদ্রোহের কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কার্যত স্থবির হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা দাবিতে অনড়—ইউসুফ সরকারকেই তাদের সব এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। এই অপ্রত্যাশিত চাপে ইউসুফ সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি নাকি নীরবে মন্তব্য করেছেন, দুই লাইন লিখে গান বানানো আর দুই হাজার লাইন লিখে এসাইনমেন্ট তৈরি করা তো এক কথা নয়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি যে কথাটা বলতে চেয়েও বলতে পারেন নি সেটা হলো, এসাইনমেন্ট করতে যদি এতই কষ্ট হয়, তাহলে প্রেজেন্টেশন দাও। এতে নিজেরাও শিখবে, অন্যকেও শেখাতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীদের জেদি অবস্থান দেখে ইউসুফ সরকার আপাতত নীরব থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইউসুফ সরকার গানের বাইরে এসাইনমেন্ট লেখার জগতে আসবেন কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এক জিনিস নিশ্চিত—বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তার অভাব নেই!