বিপিএল থিম সং লিখে চারদিকে হইচই ফেলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। তার লেখা গান এখন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রশংসিত হচ্ছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে, বিটিএস-এর নতুন অ্যালবামের গান লেখার জন্য বাংলাদেশে আসছে পুরো বিটিএস টিম। কিন্তু এদিকে, একজনের মন অনেক ভার হয়ে আছে। ভারতে বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাত পার করছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, শেখ হাসিনা এত বছর দেশ চালালেন, কত উন্নয়ন করলেন, ১৬ কোটি মানুষকে ভাত খাওয়ালেন অথচ একবারও তাকে দিয়ে বিপিএলের মতো বড় আয়োজনের থিম সং লেখানো হলো না। এর চেয়েও বড় অপমান কি হতে পারে? ড. ইউনূসকে দিয়ে মাত্র তিন মাসের অভিজ্ঞতায় থিম সং লেখানো হলো, আর শেখ হাসিনাকে? এই অবিচার মেনে নিতে না পেরে তিনি এবার নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন আইপিএল থিম সং লেখার।
শেখ হাসিনার বক্তব্য স্পষ্ট, বিপিএল থিম সং তো দেশেই সীমাবদ্ধ, কত জন ই আর শুনে দেখে, ইউটিউবে এক মিলিওন ভিউ ও পায় না। আর আইপিএল? এর গান সারা দুনিয়া শোনে। এমনকি মহাকাশেও শোনা যায়। নিজের এই লক্ষ্য পূরণে তিনি এখন খাতা-পেন্সিল কিনে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। শোনা যাচ্ছে, তিনি বিশেষভাবে অপ্সরা ব্র্যান্ডের পেন্সিল কিনেছেন। কারণ, এই পেন্সিল নাকি পরীক্ষায় ১০০-তে ১০৫ মার্ক এনে দিতে পারে। আইপিএল এর থিম সং আর এমন কি ব্যপার, চাইলেই ধাসু একটা গান লিখে ফেলা যাবে অনায়াসে।
eআরকির গোয়েন্দা টীমের কাছে খবর এসেছে শেখ হাসিনা তার থিম সং নিয়ে এতটাই সিরিয়াস যে, মাঝেমধ্যে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। মমতার বাসার কেয়ারটেকারের দাবি, গভীর রাতে মমতা ব্যানার্জিকে ফোন দিয়ে শেখ হাসিনা জানতে চান, গান লিখে ও গেয়ে কীভাবে জনগনের মন জয় করেছেন তিনি? মমতাও নাকি সুরে সুরে শেখাচ্ছেন কীভাবে গান লেখা যায়।
গান লিখতে গিয়ে শেখ হাসিনা ক্রিকেটকের স্পিরিটের সাথে দেশ চালানো, ভাত খাওয়ানো, এক চিমটি কান্না ইত্যাদি যুক্ত করছেন। তার লক্ষ্য এমন একটি গান লেখা, যা আইপিএল-এর প্রতিটি ম্যাচে তাকে মনে করাবে। ক্রিকেট মাঠে প্রতিটি ছক্কা যেন তার নেতৃত্বের জয়গান হয়ে ওঠে।
বিপিএল নয়, আইপিএল থিম সং লিখে গানের জগতে এক নতুন পরিচিতি তৈরির চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন শেখ হাসিনা। হয়তো একদিন তিনি থিম সং লেখকদের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠবেন।শেখ হাসিনা কি পারবেন এই বিশাল মঞ্চে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিতে? সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।