বেবি শার্ককে জাতীয় সঙ্গীত করার দাবিতে শিশুদের হাঙ্গার স্ট্রাইক

১৮২ পঠিত ... ১৭:৫৭, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪

19

নতুন জাতীয় সঙ্গীত রচনার আহ্বান জানিয়েছেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী। এর সূত্র ধরে সারাদেশে বিভিন্ন জন বিভিন্ন গানকে জাতীয় সঙ্গীত বানানোর কথা বলছে।  

এরমধ্যে দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের দাবিতে এক অভিনব আন্দোলনে নেমেছে শিশুরা। বাচ্চাদের প্রিয় গান, বেবি শার্ক ডু ডু ডু ডুকে জাতীয় সঙ্গীত করার দাবিতে আজ সকাল থেকে রাজধানীর শাহবাগে হাঙ্গার স্ট্রাইক শুরু করেছে কয়েক হাজার শিশু। আন্দোলনকারীদের মূল দাবি, বর্তমান জাতীয় সঙ্গীত শুনে তারা ভাত খেতে রাজি নয়। শুধুমাত্র বেবি শার্কের সুরেই তাদের খাবার হজম হয়।

একজন চার বছর বয়সী আন্দোলনকারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক), সংবাদকর্মীদের জানায়, আম্মু যখন বেবি শার্ক বাজায়, তখনই ভাত মজা লাগে। এখনের জাতীয় সঙ্গীত দিলে খেতে ইচ্ছা করে না, তাই আমাদের দাবি মানতে হবে। শিশুটির পাশে থাকা তার মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখনকার বাচ্চারা বুদ্ধিমান। তারা কোনো কিছুই জোর করে করবে না। তাই বেবি শার্ক জাতীয় সঙ্গীত না হলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে।

শিশুদের এই দাবিকে সমর্থন দিয়ে ‘মা সংঘ’ নামক একটি সংগঠনও মাঠে নেমেছে। তাদের মতে, শিশুদের খাওয়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তাদের প্রিয় গানের মাধ্যমে মন জয় করা। সংগঠনের একজন নেত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, বাচ্চারা এখনকার জাতীয় সঙ্গীত শুনে শুধুমাত্র নিস্তব্ধ থাকে। খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয় না। কিন্তু বেবি শার্ক বাজালেই মিরাকল ঘটে!

এর পাশাপাশি, আন্দোলনে আরেকটি দাবি উঠে এসেছে— দেশের জাতীয় টেলিভিশন বিটিভির পরিবর্তে ‘কোকোমেলন’কে জাতীয় টেলিভিশন হিসেবে ঘোষণার। আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, কোকোমেলনের শিক্ষা মূলক গানের মাধ্যমে শিশুরা শুধু খাওয়া নয়, শিখতেও পারে। তারা আরও দাবি করেন, বিটিভি এখন আমাদের কোনো কাজে লাগে না, কিন্তু কোকোমেলন প্রতিদিন আমাদের জীবন বদলে দেয়।

এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে শিশুদের দাবি নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেবি শার্ককে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করার বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করা হবে। এছাড়া, বিটিভিকে কোকোমেলনে পরিণত করার প্রযুক্তিগত দিকগুলোও আমরা যাচাই করছি।

আন্দোলন চলাকালীন বাচ্চারা নিজস্ব ব্যান্ড দল গঠন করে, বেবি শার্ক গেয়ে আন্দোলনকে আরও জোরদার করছে। বাবা-মায়েরা তাদের উৎসাহ দিয়ে বলছে, শুধু বেবি শার্কই নয়, চাইলে বেবি এলিফ্যান্ট বা বেবি গোরিলা দিয়েও দেশের সঙ্গীত পরিবর্তন হতে পারে, তবে বিষয়টা শিশুদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

 

 

১৮২ পঠিত ... ১৭:৫৭, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪

Top