নাপার কম্পিটিটর হিসেবে বাজারে নামল আম

১৫৩ পঠিত ... ১৭:৫৫, জুলাই ১৩, ২০২৪

21

আমাদের এখানে জ্বর, ঠান্ডা, মাথা ব্যথা কিংবা পেট ব্যথা যেটাই হোক না কেন একটা নাপা খেলেই সবাই কেমন যেন ভালো বোধ হতে শুরু করে। আমরা জানি, এসব রোগ নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে দুই একটা প্রশ্ন করে নাপা খেতে বলবেন। তাই হাজার কিংবা পাঁচশো টাকা খরচ করে ডাক্তার না দেখিয়ে সরাসরি ফার্মেসি চলে যান অনেকেই। খুব আয়েশ নিয়ে পরিচিত মামাকে নাপা দেওয়ার কথা জানিয়ে ঠিক কোথাও একটা তাকিয়েও থাকেন সবাই। মনে মনে হয়ত সবাই একটা কথাই উচ্চারণ করি, আপুন কা দিন ভি আয়েগা।

নাপার সাথে বাংলাদেশের মানুষদের এক জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক আছে। মাঝে মাঝে রোগ আসতে চাইলে নাপা খেয়ে ফেলব কিন্তু বলে, রোগকেই ভয় দেখানো যায়। যেকোনো জায়গায় কারো সাথে ভাব জমাতে চাইলে কোনো কথা শুরু করতে না পারলে খুব ইজিলি, নাপা আছে কিনা জানতে চেয়ে কনভার্সেশন স্টার্ট করা যায়।

নাপার পাওয়ারফুল ইফেক্টের কারণে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারগুলোর প্রধান ওষুদের তালিকায়, এক নাম্বার স্থান দখল করে আছে। অনেক জায়গায় তাদের মেডিকেল সেন্টারকে আদর করে নাপা সেন্টার ডেকে থাকেন।  

বেশ কিছুদিন ধরে নাপার এক কঠিন মিষ্টি প্রতিদ্বন্দী মাঠে নেমেছে। কোনো এক আশ্চর্য জাদুকরি ক্ষমতা সম্পন্ন এই প্রতিদ্বন্দীকে একবার যে খাবে, বার বার খেতে চাইবে। মন খারাপ হলে খাওয়া যায় যেমন, মন ভালো হলেও খাওয়া যায়। একা একা খাওয়া যায়, আবার সবার সাথে খাওয়া যায়। দরজা বন্ধ করে খাওয়া যায়, আবার দরজা খুলেও খাওয়া যায়। এই ওষুধের নাম হলো আম।

বাসায় মন খারাপ করে বসে থাকলে মা এসে বলবে, আম খেয়ে নে, মন ভালো হয়ে যাব। রেজাল্ট খারাপ হলে বাবা আদর মেশানো রাগ নিয়ে বলবে, হলে ঢোকার আগে আম খাসনি বলেই পরীক্ষা খারাপ হয়েছে।

সর্ব রোগের মহৌষধ হিসেবে সমাজে এক কঠিন অবস্থান নেওয়াতে নাপা লাভার্সরা পড়ছেন কঠিন বিপদে। তাদের পক্ষের লোক কমে যাচ্ছে বুলেটের বেগে। আমে রোগ সাড়ে কিনা পরীক্ষা করতে গিয়ে অনেক নাপা লাভার্সও আমের ফাঁদে পা দিচ্ছেন।

১৫৩ পঠিত ... ১৭:৫৫, জুলাই ১৩, ২০২৪

Top