গত কয়েকদিন ধরে হোটেলগুলোতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজকুচি। পেঁয়াজকুচি কিনলেই সাথে দেয়া হচ্ছে সিঙ্গাড়া, সমুচা, পুরি, মোগলাইসহ রুচিভেদে নানাবিধ হাতে তৈরি নাস্তা একদম ফ্রি। পেঁয়াজের প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শনের জন্যই এমন আয়ো
জন করেছেন বলে জানান দোকানদাররা। সদরঘাটের সাবেক পুরির দোকানদার সামাদ (এখন পেঁয়াজকুচি বিক্রেতা) eআরকিকে বলেন, 'আলুপুরি, ডালপুরি, পানিপুরি, লুচি সব বিক্রি বন্ধ। শুধু পেঁয়াজকুচি বেচতেছি। সারাবছর পেঁয়াজকে যাচ্ছে তাই ভাবে দেই, এই একটা সময়ে পেঁয়াজ যেহেতু রাজা বাদশা লেভেলে উঠে যায় তাকে একটু সম্মান দেয়ার দরকার আছে।'
তবে অনেকেই এটাকে বিজনেসের নতুন মডেল হিসেবে দেখছেন। ফার্মগেটের প্রাক্তন সিঙ্গারা বিক্রেতা (এখন পেঁয়াজকুচি বিক্রেতা) সেলিম আমাদের বলেন, 'সামান্য সিঙ্গারা খেতে এসে পেঁয়াজ চেয়ে বসে মানুষ। এই সময়ে সিঙ্গাড়ার লগে পেঁয়াজ দিলেতো দোকান বেঁচা লাগবে মামা। হেরলাইগা এই সিদ্ধান্ত। ১০ টাকার পেঁয়াজকুচির লগে একটা সিঙ্গাড়া ফ্রি। কিনলে কিনেন, না কিনলে নাই।'
এই নতুন সিস্টেমের পর জমিদার লেভেলের কাস্টমার পাচ্ছেন বলেও জানান সেলিম। সেলিম আমাদের বলেন, 'পেঁয়াজকুচি কিনতে আগের সেই ফকিন্নি লেভেলের কাস্টমারগুলা আসে না, যারা বাকি খাইতো তারাও পেঁয়াজকুচি বিক্রি শুরু করেছি শোনার পর দোকানের ধারেকাছে ঘেঁষে না ভয়ে। যারা পেঁয়াজকুচি কিনতে আসে তাগোরে দেখলেই মনে হয়, উঁচু বংশের লোক। খাওয়াইতে ভাল্লাগে মামা।'
পেঁয়াজকুচি বিক্রি শুরু করার পর থেকেই নিজের স্ট্যাটাসেও পরিবর্তন এসেছে মিরপুর ১০ নাম্বার গোলচক্করের মফিজ মামার। স্যুট, টাই পরে দোকান বসা মামা বলেন, 'ব্যবসা বলতে গেলে আগেরটাই। আগে সিঙ্গাড়ার লগে পেঁয়াজ ফ্রি দিতাম, এখন পেঁয়াজের লগে সিঙ্গাড়া। কিন্তু স্ট্যাটাস বদলাইয়া গেছে মামা। নিজেরে বিজনেস ম্যাগনেট ম্যাগনেট লাগে। লুঙ্গি আর ছিঁড়া গেঞ্জি পইরা আসতে লজ্জা লাগে। সেজন্য স্যুট, টাই পরে আসি। কারিগরগুলার জন্যও শেফের ড্রেস সিলাইতে দিয়া আসলাম।'